কোম্পানীগঞ্জে সীমান্ত অপরাধ তদন্তে অতিরিক্ত ডিআইজি

19
কোম্পানীগঞ্জে সীমান্ত অপরাধ তদন্ত করছেন সিলেট রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (ক্রাইম) বিপ্লব বিজয় তালুকদার।

লবীব আহমদ কোম্পানীগঞ্জ থেকে :
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সীমান্ত এলাকায় পাথর উত্তোলন, বাংলাদেশীরা ভারতে অনুপ্রবেশসহ অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে বিজিবির এমন আবেদনের প্রেক্ষিতে সিলেট রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (ক্রাইম) বিপ্লব বিজয় তালুকদার কোম্পানীগঞ্জে আসেন। শনিবার বিকাল ৩টায় উপজেলার শাহ আরিফ টিলা পরিদর্শন করে সেখানে স্থানীয়দের সঙ্গে মত বিনিময় ও অভিযোগের তদন্ত করেন।
বিজিবির অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার নারাইনপুর গ্রামের বর্ডার এলাকা থেকে পাথর উত্তোলন করে ছোট ছোট ট্রলি দিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। বাংলাদেশী নাগরিক ভারতে প্রবেশ করে সেই পাথর নিয়ে আসেন। বিজিবি তাতে বাঁধা দিয়েও আটকাতে পারছে না। এ বিষয়টি নিয়ে যে কোন সময় দু-দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হতে পারে। এমন অভিযোগ তদন্ত করতে আসেন অতিরিক্ত ডিআইজির সমন্বয়ে একটি প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দল এ বিষয়ের সত্যতা নিশ্চিতে স্থানীয়দের সঙ্গে মত বিনিময় করেন। প্রায় ২ শত স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতিতে চলে তদন্ত কার্যক্রম। এ সময় স্থানীয়রা বলেন, নারাইনপুর এলাকার যেই অংশের কথা বিজিবির অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে এটি মূলত ভারতের অংশ। এই অংশ ঘেঁষে ভারতের কাঠা তাঁরের বেড়া রয়েছে। সেখানে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর একটি অস্থায়ী টহল পোস্ট রয়েছে। এই পোস্টের সামনের অংশের কথাই বিজিবির অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। ভারতের বিএসএফ ২৪ ঘন্টা সেখানে টহলে থাকে তাই সেখানে চাইলেও কেউ যাতায়াত কিংবা পাথর আনতে পারবেন না। স্থানীয়রা আরো বলেন সেখানে যে পাথর রয়েছে সেগুলো মাটির প্রায় ১০/১৫ ফুট নিচে। পুরো বছর নদীতে পানি থাকায় ১০/১৫ ফুট নিচে থেকে পানি সেচের মেশিন ব্যবহার ছাড়া পাথর উত্তোলন প্রায় অসম্ভব। আর ট্রলি দিয়ে যেই পাথর মাঝেমধ্যে পরিবহন করা হতো তা নারাইনপুর গ্রামের পার্শবর্তী শাহ আরিফ টিলা থেকে উত্তোলিত। যেগুলো শুকনো মৌসুমে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে মাঠ দিয়ে যেত। সেই যাতায়াতের রাস্তায় প্রায় ২শ মিটার অংশ ভারতের পাশ দিয়ে যেতে হতো।
অতিরিক্ত ডিআইজি বিপ্লব বিজয় তালুকদার এ সময় স্থানীয়দের বলেন, কোম্পানীগঞ্জ পাথর অধ্যুষিত এলাকা তাই সরকারের লিজ দেওয়ার আগ পর্যন্ত কেউ পাথর উত্তোলন কিংবা পরিবহন করবেন না। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয় এমন কোন কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। সীমান্ত অপরাধ, মাদক ও চোরাকারবার থেকে দূরে থাকবেন। কেউ মাদক ব্যবসা বা সেবনের সাথে জড়িত থাকলে তার তথ্য পুলিশকে দিতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি কার্যালয়ের পুলিশ সুপার (অপারেশন্স এন্ড ট্রাফিক) শাহিনুর রহমান, পিপিএম-সেবা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) মিয়া মোহাম্মদ আশিস বিন্ হাছান, গোয়াইনঘাট সার্কেল এএসপি প্রভাস কুমার সিংহ, কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি কেএম নজরুল, ওসি (তদন্ত) মোঃ মুজিবুর রহমান, ইসলামপুর পশ্চিম ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শাহ মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন, ৯ নং ওয়ার্ড সদস্য আজির উদ্দিন তালুকদার, স্থানীয় মুরব্বি ছবর আলী, আব্দুল করিম, কোম্পানীগঞ্জ অনলাইন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল, সাংবাদিক সুহেল আহমদ প্রমুখ।