সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন ॥ ডেনমার্ক দূতাবাস ও ভিসা আবেদন কেন্দ্রের কার্যক্রম চালুর দাবি শিক্ষার্থীদের

10
উচ্চ শিক্ষা গ্রহণে ডেনমার্কে গমনেচ্ছু শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে সিলেট প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করছেন আবু আসলাম আল মাহদী।

স্টাফ রিপোর্টার :
করোনা মহামারীর কারণে বাংলাদেশে বন্ধ থাকা ডেনমার্ক দূতাবাস ও ভিসা আবেদন কেন্দ্রের কার্যক্রম সীমিত পরিসরে চালু করার দাবি জানিয়েছেন উত্তর-পশ্চিম ইউরোপের রাষ্ট্র ডেনমার্কে গমনেচ্ছু শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, লকডাউনের কারণে ডেনমার্ক দূতাবাস ও ভিসা আবেদন কেন্দ্রের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় তারা প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হচ্ছেন, এজন্য শিক্ষা ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে তারা আবেদনও জানিয়েছেন। পাশাপাশি বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের রেড ক্যাটাগরির বাইরে রাখার বিষয়েও ব্যবস্থা নিতে দাবি তুলেছেন তারা।
মঙ্গলবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে ডেনমার্ক দূতাবাস ও ভিসা আবেদন কেন্দ্র খুলে দেয়ার দাবি জানান। লিখিত বক্তব্যে তারা ভিসা আবেদন কেন্দ্র বন্ধ থাকার কারণে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন বলে উল্লেখ করেন। পাশাপাশি তাদের চারটি দাবিও তুলে ধরেন।
লিখিত বক্তব্যে ভোক্তভোগীরা জানান, ‘ডেনমার্কের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো চলতি সেপ্টেম্বর সেশনে ক্লাস নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইতোমধ্যে দেশটির বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিস্টার ফি প্রদান করে ভর্তি নিশ্চিত করেছেন তারা। যে কারণে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে অংশ নিতে এখন থেকেই ভিসার আবেদন করতে হবে। কিন্তু দূতাবাস এবং ভিসা আবেদন কেন্দ্র বন্ধ থাকার কারণে যথাসময়ে ভিসা আবেদনে ব্যর্থ হলে তাদের একবছর সময়ের পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতিও হবে। এ কারণে শত শত শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার পথে রয়েছে। পাশাপাশি আর্থিক এবং মানসিকভাবেও তারা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছেন।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, ‘ডেনমার্ক বাংলাদেশকে অনিরাপদ চিহ্নিত করে রেড ক্যাটাগরির আওতাভুক্ত করে রেখেছে। এ তালিকা সংশোধিত হয়ে শিগগিরই রেড ক্যাটাগরির বাইরে আসতে সক্ষম হবো বলে আমাদের বিশ্বাস। তাই আমরা সময়মতো ভিসা কার্যক্রম সম্পন্ন করে ভিসা নিশ্চিত করে রাখতে চাই, যাতে রেড ক্যাটাগরি আওতামুক্ত হলেই সেখানে পৌঁছানো যায়। পাশাপাশি এখনই ভিসা কার্যক্রম শুরু করা না গেলে আসছে গ্রীষ্ম মৌসুমে ডেনমার্কের ছুটি শুরু হলে সকল অফিস বন্ধ থাকবে, এতে শিক্ষার্থীদের আরও সংকটের মধ্যে পড়ার শঙ্কাও করছেন তারা। এজন্য তারা ভিসা প্রক্রিয়াকে জরুরি পরিসেবার আওতায় এনে দূতাবাস ও ভিসা সেন্টার খুলে দিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতি আবেদন করেছেন।’
লিখিত বক্তব্যে আরও জানানো হয়, ইতোমধ্যে কিছুসংখ্যক দেশের ভিসা আবেদন কেন্দ্র তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। আমরা মনে করি স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে ডেনমার্ক দূতাবাস ও ভিসা আবেদন কেন্দ্র চালু করা যেতে পারে। কারণ, লকডাউনের উপর ভিত্তি করে শিক্ষা ভিসা কার্যক্রম বন্ধ রাখলে ডেনমার্কে পাঠ্যক্রমে যোগদান বিলম্বিতও হবে। তাই লকডাউনে শিক্ষা ভিসা প্রক্রিয়াকে জরুরি পরিসেবা হিসেবে নিশ্চিত করা, ডেনমার্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে আলোচনা সাপেক্ষে শিক্ষাকে উপযুক্ত উদ্দেশ্য হিসেবে বিবেচনা ও শিক্ষার্থীদের রেড ক্যাটাগরির আওতামুক্ত রাখার দাবিও জানিয়েছেন ভোক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আবু আসলাম আল মাহদী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাজেল আহমেদ, ইফ্ফাত আরা ইসলাম, মহিউদ্দিন মাহবুব, সুলতান আহমেদ, কেএ ফয়সল, আব্দুল্লাহ এ জুবায়ের, মো. শাহরিয়ার হোসেন মেহেদী, নুরুল আমিন, শাহ মিজানুর রহমান, জুবায়ের হোসেন জুসেফ প্রমুখ।