করোনায় নগরীর আবাসিক হোটেলে বৃদ্ধি পাচ্ছে নানা অনৈতিক কার্যকলাপ

17

স্টাফ রিপোর্টার  :
করোনায়ও নগরীর বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে অনৈতিক কার্যকলাপ। কিছু পুলিশকে ম্যানেজ করে চলে এমন আবাসিক হোটেল ব্যবসা। আর এসব হোটেল ব্যবসা থেকে পুলিশ টাকা না পেলে চালায় অভিযান। পরদিন এসব অভিযানের খবরও গণমাধ্যমেও পাঠায় পুলিশ। এরই ধারাবাহিকতায় গত দুদিনে কয়েকটি আবাসিক হোটেলে পৃথক অভিযান চালিয়ে ১০ নারী-পুরুষকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার সুরমা মার্কেটের বদরুল আবাসিক হোটেলে একদল পুলিশ অভিযান চালায়। বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই (নিরস্ত্র) মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান এর নেতৃত্বে পুলিশের ওই দল হোটেলে গিয়ে দেখতে পায় অনৈতিক কাজে লিপ্ত রয়েছে কয়েকজন নারী পুরুষ। এ সময় ২ নারী ও ৫ পুরুষকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হচ্ছে, মোগলাবাজারের সরিগাঁওর মাখন মিয়ার পুত্র শায়েখ আহম্মেদ (১৮), একই এলাকার সাকিব আহমেদ (২০), তানভির আহমেদ (১৮),সুনামগঞ্জ সদর থানার ভুতিয়ারাপুরের ফজলু মিয়ার পুত্র রুবেল মিয়া (২০), ওসমানীনগরের সেয়ারগাঁওয়ের তৈয়বের পুত্র মারুফ আহমেদ (২৪)। তবে পুলিশ ২ নারীর নাম ঠিকানা উল্লেখ করেনি।
এদিকে, গত রবিবার অভিযান চালিয়ে নগরীর কালীঘাটে বন্ধু রেস্ট হাউজ নামক হোটেল থেকে অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকাবস্থায় ১ যুবক ও ২ যুবতীকে গ্রেফতার করে কোতোয়ালি মডেল থানার বন্দরবাজার ফাঁড়ি পুলিশ।
মহানগর পুলিশের (এসএমপি) মিডিয়া শাখা জানায়, রবিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর কালীঘাটস্থ বন্ধু রেস্ট হাউজ থেকে অভিযান চালিয়ে অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকা অবস্থায় বরিশাল জেলার বানরিপাড়া থানার কচুয়া গ্রামের মৃত ইব্রাহিমের কন্যা রহিমা সোনিয়া (২০), শেরপুর জেলার শ্রীবর্দি থানার আয়নাপুর গ্রামের মৃত বাবুল আহমদের কন্যা বৃষ্টি আক্তার (২৫) ও সুনামগঞ্জ জেলার দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার পূর্বপাগলা গ্রামের আছাদ আলীর পুত্র হাসান (১৮) কে গ্রেফতার করে কোতোয়ালি মডেল থানার বন্দরবাজার ফাঁড়ির একদল পুলিশ।