কাজিরবাজার ডেস্ক :
মহামারী করোনার কারণে গত বছর আমদানি কমায় কিছুদিন পণ্য বাণিজ্যে ঘাটতি নিম্নমুখী ছিল। শিল্প স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় ক্যাপিটাল মেশিনারি (মূলধনী যন্ত্রপাতি), শিল্পের কাঁচামাল, জ্বালানি তেলসহ সব ধরনের পণ্যের আমদানিই কমে গিয়েছিল। কিন্তু গত কয়েক মাসে আমদানি বাড়ায় এখনসবই বাড়তে শুরু করেছে। যার ফলে অর্থনীতির অন্যতম প্রধান সূচক বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাবের ভারসাম্যে (ব্যালান্স অব পেমেন্ট) উদ্বৃত্ত এখন নেই বললেই চলে। মাত্র ১২ কোটি ৫০ লাখ ডলার রয়েছে এই উদ্বৃত্ত। চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে আমদানিতে ব্যয় হয়েছে ৪ হাজার ২৭৬ কোটি ৭০ লাখ ডলার। একই সময়ে রফতানি আয় বেড়েছে মাত্র দশমিক ০৬ শতাংশ। আর আমদানি ব্যয় বেড়েছে ৬ দশমিক ০৪ শতাংশ। ফলে প্রথম নয় মাসে এক হাজার ৪৪৯ কোটি ৭০ লাখ ডলার বাণিজ্য ঘাটতিতে পড়েছে বাংলাদেশ। তবে এই আমদানি বাড়াকে অর্থনীতির জন্য ‘ভাল’ হিসেবেই দেখছেন অর্থনীতিবিদরা। তারা বলেছেন, আমদানি বাড়া মানে দেশে বিনিয়োগ বাড়া; অর্থনীতিতে গতিসঞ্চার হওয়া।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাবে ভারসাম্যের (ব্যালেন্স অব পেমেন্ট) ওপর করা হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে ইপিজেডসহ রফতানি খাতে বাংলাদেশ আয় করেছে দুই হাজার ৮২৭ কোটি ডলার। এর বিপরীতে আমদানি বাবদ ব্যয় করেছে চার হাজার ২৭৭ কোটি ডলার। সে হিসাবে নয় মাসে বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৪৪৯ কোটি ডলার। দেশীয় মুদ্রায় ঘাটতির এ পরিমাণ এক লাখ ২৩ হাজার ২২৪ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ধরে)। এ সময়ে পণ্য রফতানি করে বাংলাদেশ তার আগের বছরের তুলনায় দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ বেশি আয় করেছে। বিপরীতে পণ্য আমদানির ব্যয় আগের বছরের চেয়ে ৬ দশমকি শূন্য ৪ শতাংশ বেড়েছে। দেশের অভ্যন্তরে বিনিয়োগের চাহিদা কিছুটা বৃদ্ধি পাওয়ায় আমদানিজনিত চাহিদাও বেড়েছে। তাই আমদানি ব্যয়ও বৃদ্ধি পেয়েছে স্বল্প পরিসরে। তবে দেশের প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স প্রবাহ চাঙ্গা থাকায় বাণিজ্য ঘাটতি কম হয়েছে। প্রথম নয় মাসে রেমিটেন্স বেড়েছে প্রায় ৩৫ শতাংশ। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গবর্নর সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘মহামারীতে পোশাক রফতানি কিছুটা ঘুরে দাঁড়াতে পারলেও অন্যান্য খাতের রফাতানি বাড়েনি। অন্যদিকে ওষুধ ও নির্মাণ সামগ্রী, সিমেন্টসহ বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রি কাঁচামাল আমদানি করতে হচ্ছে। এসব কারণে আমদানি ও রফতানির মধ্যে ঘাটতি বেড়েছ। তবে সার্বিক দিক চিন্তা করলে এটা খুব খারাপ নয়, কারণ আমাদের রেমিটেন্স প্রবাহ বেড়েছে ও পাশাপাশি বিদেশী অনেক সংস্থা থেকে অর্থ আসছে।’ তিনি জানান, ‘আমাদের দেখতে হবে যে আমদানি-রফতানির মধ্যে অর্থ পাচার হচ্ছে কিনা। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে নজরদারি বাড়াতে হবে।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের জুলাই-মার্চ সময়ে সেবা খাতের বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১৯১ কোটি ৮০ লাখ ডলার। জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে ছিল ১৭০ কোটি ৫০ লাখ ডলার। জুলাই-জানুয়ারি সময়ে ছিল ১৩৭ কোটি ডলার। ছয় মাসে অর্থাৎ জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে এ খাতে ঘাটতি ছিল ১০৫ কোটি ৮০ লাখ ডলার। গত অর্থবছরের জুলাই-মার্চে এই ঘাটতি ছিল ২৩৬ কোটি ডলার। মূলত বীমা, ভ্রমণ ইত্যাদি খাতের আয়-ব্যয় হিসাব করে সেবা খাতের বাণিজ্য ঘাটতি পরিমাপ করা হয়। বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাবের ভারসাম্যে (ব্যালান্স অব পেমেন্ট) বড় উদ্বৃত্ত আর ধরে রাখতে পারছে না বাংলাদেশ। অর্থবছরের নয় মাসে (জুলাই-মার্চ) এই সূচকের উদ্বৃত্ত মাত্র ১২ কোটি ৫০ লাখ ডলারে নেমে এসেছে। জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে এই উদ্বৃত্ত ছিল ১৩৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার। ছয় মাসে অর্থাৎ জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে উদ্বৃত্ত ছিল সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলার। মহামারীতে বিশ্ব অর্থনীতির মন্দার প্রভাব সরাসরি পড়েছে প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগের (এফডিআই) ওপরও। গত অর্থবছরের জুলাই-মার্চ সময়ে ২৪৯ কোটি ১০ লাখ ডলারের এফডিআই পেয়েছিল বাংলাদেশ। একই সময়ে চলতি অর্থবছর তা সামান্য বেড়ে ২৫৪ কোটি ৯০ লাখ ডলারে পৌঁছেছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে সরাসরি মোট যে বিদেশী বিনিয়োগ আসে তা থেকে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান মুনাফার অর্থ নিয়ে যাওয়ার পর যা অবশিষ্ট থাকে তাকে নিট এফডিআই বলা হয়। আলোচিত সময়ে নিট বিদেশী বিনিয়োগও আগের বছরের চেয়ে প্রায় ৭ দশমিক ৯৬ শতাংশ কমে ৯৪ কোটি ডলারে নেমেছে। গত বছর একই সময়ে নিট বিদেশী বিনিয়োগ ছিল ১০৩ কোটি ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য ঘেঁটে দেখা যায়, গত ২০১৯-২০ অর্থবছর শেষ হয়েছিল ৪৮৪ কোটি ৯০ লাখ (প্রায় ৫ বিলিয়ন) ডলারের বড় ঘাটতি নিয়ে। কিন্তু ২০২০-২১ অর্থবছর শুরু হয় উদ্বৃত্ত দিয়ে। প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) এই উদ্বৃত্তের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩৫৩ কোটি ৪০ লাখ (৩ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন) ডলার। এর পরের তিন মাস ধারাবাহিকভাবে বাড়তে বাড়তে জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে তা ৪৩২ কোটি ২০ লাখ (৪ দশমিক ৩২ বিলিয়ন) ডলারে উঠে। কিন্তু দেশে করোনা মহামারীর প্রথম ঢেউয়ের প্রকোপ কমতে থাকলে আমদানি বেড়ে যায়। সে কারণে জানুয়ারি শেষে অর্থাৎ জুলাই-জানুয়ারি সময়ে সেই উদ্বৃত্ত ২২৩ কোটি ৫০ লাখ ডলারে নেমে আসে। ফেব্রুয়ারি শেষে যা আরও কমে ১৫৫ কোটি ৭০ লাখ ডলারে নেমে আসে। সর্বশেষ জুলাই-মার্চে তা আরও কমে ১২ কোটি ৫০ লাখ ডলারে নেমে এসেছে। জানা গেছে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বাংলাদেশের লেনদেন ভারসাম্যে ঘাটতি ছিল ৫১০ কোটি ২০ লাখ ডলার। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ঘাটতি ছিল ৯৫৬ কোটি ৭০ লাখ ডলার। নিয়মিত আমদানি-রফতানিসহ অন্যান্য আয়-ব্যয় চলতি হিসাবের অন্তর্ভুক্ত। এই হিসাব উদ্বৃত্ত থাকার অর্থ হলো নিয়মিত লেনদেনে দেশকে কোন ঋণ করতে হচ্ছে না। আর ঘাটতি থাকলে সরকারকে ঋণ নিয়ে তা পূরণ করতে হয়।
আমদানি বাড়ায় লেনদেন ভারসাম্যে উদ্বৃত্ত কমছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএসস) গবেষক রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান জায়েদ বখত। তিনি বলেন, অর্থবছরের বাকি তিন মাসে আমদানি বাড়লে গত অর্থবছরের মতো এবারও লেনদেন ভারসাম্যে ঘাটতি নিয়ে অর্থবছর শেষ হবে। তবে গতবারের মতো অত বড় ঘাটতি হবে না। তিনি বলেন, ‘আশার কথা হচ্ছে, কোভিড-১৯ মহামারীর মধ্যেই অর্থনৈতিক কর্মকা- পরিচালিত হচ্ছে। সবাই বুঝতে পেরেছে, করোনাকে সঙ্গে নিয়েই আমাদের চলতে হবে। সে কারণে আমদানিতে যে মন্দাভাব ছিল, সেটা আর নেই। এটা অর্থনীতির জন্য ভাল।’ পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘কোভিড-১৯ এর কারণে শিল্প স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় ক্যাপিটাল মেশিনারি (মূলধনী যন্ত্রপাতি), শিল্পের কাঁচামাল, জ্বালানি তেলসহ সব ধরনের পণ্যের আমদানিই কমে গিয়েছিল। এখন সবই বাড়তে শুরু করেছে। এটা একটা ভাল খবর।’ তিনি বলেন, ‘আমদানি বাড়া মানে দেশে বিনিয়োগ বাড়া, অর্থনীতিতে গতিসঞ্চার হওয়া। কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হওয়া।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আট মাসে শিল্পের যন্ত্রপাতি আমদানির এলসি খোলার হার কমেছে ২৪ দশমিক ৩৩ শতাংশ। একই সময়ে আমদানি কমেছে ৩৬ দশমিক ৭৭ শতাংশ। গত অর্থবছরের একই সময়ে শিল্পের যন্ত্রপাতি আমদানির এলসি খোলা কমেছিল শূন্য দশমিক ৫৭ শতাংশ। আমদানি কমেছিল ১০ দশমিক ৪১ শতাংশ। পুরো অর্থবছরে গড়ে আমদানি কমেছিল ৮ দশমিক ৫১ শতাংশ। তবে চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি সময়ে শিল্পের মধ্যবর্তী কাঁচামাল আমদানির এলসি খোলা বেড়েছে ১ দশমিক ৫৪ শতাংশ। একই সময়ে আমদানি কমেছে ১৪ দশমিক ০৪ শতাংশ। গত অর্থবছরে আমদানি কমেছিল ১৭ দশমিক ৫৯ শতাংশ। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি সময়ে ব্যাক টু ব্যাক এলসির বিপরীতে শিল্পের কাঁচামাল আমদানির এলসি খোলা কমেছে ৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ। আমদানি কমেছে ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ। গত অর্থবছরের একই সময়ে এলসি খোলা কমেছিল ৭ দশমিক ০২ শতাংশ এবং আমদানি কমেছিল ১১ দশমিক ৬৮ শতাংশ। এছাড়া চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে জ্বালানি তেলসহ খাদ্যপণ্যের আমদানি বেড়েছে। এর মধ্যে ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে চিনি আমদানি চার লাখ টন বেড়েছে। সরবরাহ সঙ্কটের অজুহাতে চালের দাম বাড়ায় সরকারী-বেসরকারী উদ্যোগে প্রায় ১৪ লাখ টন চাল আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে। এর মধ্যে সরকারী-বেসরকারী পর্যায়ে চাল আসা শুরু হয়েছে, বাজারে এসব চাল পৌঁছেছে। কোভিড-১৯ ধাক্কা কাটিয়ে এবার ব্যবসায়ীরা রমজানের আগেই আগাম পণ্য এনেছেন।
এদিকে সার্বিক রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়ার কারণে ভারসাম্যেও (ওভারঅল ব্যালান্স) ৬৯৯ কোটি ডলারের বেশি উদ্বৃত্ত ধরে রেখেছে বাংলাদেশ। যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৬২ কোটি ৪০ লাখ ডলার। এই নয় মাসে ১ হাজার ৮৫৯ কোটি ডলারের রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। গত বছর একই সময়ে পাঠিয়েছিলেন ১ হাজার ৩৭৭ কোটি ডলার। নয় মাসে রেমিটেন্সে প্রবৃদ্ধি ৩৫ শতাংশ। দেশের শেয়ারবাজারে বিদেশী বিনিয়োগের (পোর্টফোলিও ইনভেস্টমেন্ট) গতি কমে নেতিবাচক ধারায় রয়েছে। গত অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে বিনেয়োগ ছিল তিন কোটি ৯০ লাখ ডলার। এ বছর একই সময়ে শেয়ারবাজারে বিদেশী বিনিয়োগ (নিট) যা এসেছিল তার চেয়ে ২২ কোটি ডলার বেশি চলে গেছে।
৪৬ ধরনের পণ্য আমদানিতে থাকছে না শুল্ক-কর ॥ কোভিড-১৯ প্রতিরোধে হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরির উপাদান, মাস্ক, সুরক্ষা পোশাকসহ ৪৬ ধরনের পণ্য আমদানিতে সব ধরনের শুল্ক-কর অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করেছে, এসব পণ্য আমদানিতে আমদানি শুল্ক, নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক, সম্পূরক শুল্ক, মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট, আগাম ভ্যাট ও অগ্রিম কর দিতে হবে না। আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত এই সুবিধা নিতে পারবেন এসব পণ্য আমদানিকারকরা। হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করতে আইসোপ্রোপাইল এ্যালকোহল প্রয়োজন হয়। এই আইসোপ্রোপাইল এ্যালকোহল আমদানি করলে দিতে হবে না কোন শুল্ক। কোভিড-১৯-এ দুই ধরনের টেস্ট কিটস এবং ডায়াগনস্টিক টেস্ট যন্ত্রপাতিতেও থাকছে না কোন শুল্ক-কর। এছাড়া এই পণ্যের তালিকায় আছে তিন স্তরের সার্জিক্যাল মাস্ক, সুরক্ষা পোশাক, প্লাস্টিক ফেস শিল্ডস, সার্জিক্যাল পোশাক, বিশেষ ওভেন স্যুট, মেডিক্যাল প্রটেকটিভ গিয়ার, সুরক্ষা চশমা, ডিসইনফেকটেন্টস। এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মোঃ রহমাতুল মুনিম স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে আমদানিকারককে বেশ কিছু শর্ত দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে কী পরিমাণ পণ্য আমদানি করা হবে তা ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর কর্তৃক অনুমোদিত হতে হবে। গার্মেন্টস পণ্য আমদানিতে লাগবে বিজেএমইএ ও বিটিএমএ’র প্রত্যয়ন, আমদানি করা পণ্যগুলো মানসম্মত কিনা, তা ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর নিশ্চিত হতে হবে এবং নিয়মিত তদারক করবে।