দোয়ারাবাজার থেকে সংবাদদাতা :
দোয়ারাবাজারে বসত বাড়িতে ইয়াবা রেখে র্যাব এনে অন্যকে ফাঁসাতে গিয়ে নিজেই ফেঁসে গেল দুই যুবক। এনিয়ে এলাকায় এখন তোলপাড় শুরু হয়েছে এবং নিরীহ ব্যক্তিকে ফাঁসানোর এমন ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ফুঁসে ওঠেছেন এলাকাবাসী।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাজিতপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত দুই ব্যক্তির দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবিতে এলাকাবাসী প্রতিবাদসভা ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বাজিতপুর গ্রামের মৃত আলকাছ আলীর পুত্র সাহাঙ্গীর আলম (৩৫) এর সাথে গ্রাম্য রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় একই গ্রামের হানিফ উল্লাহ’র পুত্র শফিকুল ও মৃত জমির আলীর পুত্র ফরহাদ আলম
তার বসত বাড়ির খড়ের ঘরে ২শ পিস ইয়াবা রেখে দেয়। পরে নিজেরাই র্যাবকে খবর দিয়ে নিয়ে আসে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আনুমানিক দেড়টায় র্যাব সাহাঙ্গীর আলমের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে এর সত্যতা না পেয়ে সংবাদদাতা ফরহাদকেই আটক করেন। এসময় ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত শফিকুল দৌড়ে পালিয়ে যায়।
শুক্রবার সকালে সর্বস্তরের এলাকাবাসী ইয়াবা দিয়ে নিরীহ সাহাঙ্গীর আলমকে ফাঁসানোর চেষ্টাকারী দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবিতে স্থানীয় শ্যামলবাজার ছাতক-সুনামগঞ্জ সড়কে এক বিশাল মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সাহাঙ্গীর আলম একজন ভালো মানুষ। তিনি স্থানীয় ইউপি নির্বাচনে সদস্য প্রার্থী হওয়ায় দীর্ঘদিন থেকে শফিকুল ও ফরহাদ তাকে বাধা বিপত্তি দিয়ে আসছিল। তাদের কথা না শুনায় ইয়াবা ব্যবসায়ী শফিকুল ও ফরহাদ তার বাড়িতে ইয়াবা রেখে তাকে ফাঁসানোর জন্য নিজেরাই র্যাবকে খবর দিয়ে আনে। পরে র্যাব ঘটনা বুঝতে পের জাহাঙ্গীর আলমকে ছেড়ে উল্টো খবরদাতা ও সঙ্গে থাকা ফরহাদকে গ্রেফতার করে। এ সময় টের পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে শফিকুল দ্রুত দৌড়ে পালিয়ে যায়। এলাকাবাসী শফিকুলকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন এবং এমন অপকর্মের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি করেছেন।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বাজার কমিটির সাবেক সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য আজর আলী, আছদ্দর আলী, হাফিজ চান্দ আলী, শানুর মিয়া, নুর ইসলাম, আবদুল কাদির, শফিকুল ইসলাম মালদার, জমির আলী, ফয়জুন নুর, রাসেল, শাহাব উদ্দিন, আজিজুর রহমান, আলমগীর, সোনামিয়া, মানিক মিয়া, জামাল উদ্দিন, আজরফ চৌধুরী প্রমুখ।