স্টাফ রিপোর্টার :
সারা দেশের ন্যায় সিলেটেও যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদা ও ইবাদত বন্দেগির মধ্য দিয়ে গত রবিবার রাতে পবিত্র লাইলাতুল ক্বদর বা শবে ক্বদর পালন করেছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।
ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা নিজেদের গুনাহ মাফ, বরকত কামনাসহ দেশ ও মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, শান্তি ও সমৃদ্ধ লাভে মহান আল্লাহ তাআলার কাছে প্রার্থনা ও নিয়ামত কামনা করে রাতটি কাটিয়েছেন।
পবিত্র কোরআনে এ রাতকে হাজার মাসের চেয়ে শ্রেষ্ঠ রাত ঘোষণা করেছেন মহান আল্লাহ। লাইলাতুল ক্বদরের রাতটি মুসলমান সম্প্রদায়ের কাছে অনেক ফজিলতপূর্ণ ও বরকতময়। মাহে রমজানের এ রাতেই মানবজাতির জন্য সার্বিক দিকনির্দেশনা, কল্যাণ ও তাদের পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান হিসেবে আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআন মাজিদ নাজিল করেন। সারা দেশে মুসলমানরা নফল নামাজ, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, জিকির ও দরুদ পাঠের মাধ্যমে রাতটি অতিবাহিত করেন।
এদিকে, সিলেটের হযরত শাহজালাল (রহ.) মাজার মসজিদসহ বিভিন্ন জায়গায় পবিত্র এ রজনীতে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা দেশ ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনায় মহান আল্লাহর দরবারে বিশেষ মোনাজাতও করছেন। রবিবার বাদ এশা হযরত শাহজালাল (রহ.) মাজার মসজিদে বিশেষ দোয়া পরিচালনা করা হয়। এসময় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা অংশ নেন। দোয়া পরিচালনা করেন দরগাহ মসজিদের ইমাম ও খতিব মুফতি আসজাদ আহমদ। এসময় তিনি করোনা ভাইরাসসহ সব ধরনের বিপদ থেকে মুসলিম জাহানকে রক্ষা করতে আল্লাহ তা’য়ালার দরবারে ফরিয়াদ জানান।
উল্লেখ্য,‘শবে ক্বদর’ হলো একটি ফারসি শব্দ। যার অর্থ মর্যাদার রাত বা ভাগ্যরজনী। রমজান মাসের শেষ ১০ দিনের যে কোনও বেজোড় রাতে হতে পারে শবে ক্বদর। এ রাতকে বিশেষ মর্যাদা দিয়ে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা রমজানের শেষ দশকের বিজোড় রাতগুলোতে শবে ক্বদর সন্ধান করো।’ (মুসলিম)।
তাই শবে ক্বদরের রাতে মানবজাতির ভাগ্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়। তাই লাইলাতুল ক্বদরের রাতটি মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে অনেক ফজিলতপূর্ণ ও বরকতময়। পবিত্র কোরআনে এ রাতকে হাজার মাসের চেয়ে শ্রেষ্ঠ রাত ঘোষণা করেছেন মহান আল্লাহ। এই রাতকে কেন্দ্র করে ‘ক্বদর’ নামে একটি সুরাও নাজিল হয়।