কানাইঘাট থেকে সংবাদদাতা :
কানাইঘাট বড়চতুল ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন সড়কের পাশে একটি কালভার্টের নীচে কুড়িয়ে পাওয়া সেই ফুটফুটে নবজাতক মেয়েটির লালন-পালনের দায়িত্ব নিয়েছেন পার্শ্ববর্তী জৈন্তাপুর উপজেলার বনপাড়া গ্রামের নিঃসন্তান দম্পত্তি শিমুল আহমদ ও তার স্ত্রী মুন্নি বেগম।
জানা যায় বুধবার সকাল ৬ টার দিকে ইউনিয়ন পরিষদের পাশে অবস্থিত বতাই মিয়ার বাড়ীর ইসমতুন বেগম নামে একজন মহিলা তার বাড়ীর সড়কের পাশে কালভার্টের নীচে পলিথিন দিয়ে মোড়ানো রক্তমাখা এক নবজাতককে জীবিত অবস্থায় দেখতে পান। তিনি বিষয়টি তার বাড়ীর লোকজনকে জানালে খবর পেয়ে আশপাশের লোকজন নবজাতক এ ফুটফুটে মেয়েটিকে দেখার জন্য সেখানে ভিড় করেন। এক পযার্য়ে নবজাতকে কোলে নিয়ে বাড়ীতে নিয়ে গিয়ে গোসল করিয়ে পরিচর্চা করেন ইসমতুন বেগম। নবজাতক মেয়েটি এখন সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছে। পরে নিঃসন্তান দম্পত্তি শিমুল আহমদ ও মুন্নি বেগম নবজাতক মেয়েটিকে তারা লালন পালনের দায়িত্ব নিয়ে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে ইসমতুন বেগমের বাড়ী থেকে নিয়ে যান। ধারণা করা হচ্ছে বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্কের কারণে এ নবজাতকের জন্মের পর তাকে বুধবার ভোর রাতে হয়ত বা কেউ এখানে ফেলে রেখে গেছে। নবজাতকের নাড়ী কাটা ছিল কোন ক্লিনিক বা হাসপাতালে তার জন্ম হতে পারে। নবজাতকের কুড়িয়ে পাওয়ার বিষয়টি কানাইঘাট থানা পুলিশকে জানিয়েছেন বড়চতুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওঃ আবুল হোসাইন চতুলী। উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মোঃ জিলানী ও থানার এসআই রাম চন্দ্র দেব আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নবজাতককে নিঃসন্তান দম্পত্তিকে বুঝিয়ে দিচ্ছেন।