রাজনগর থেকে সংবাদদাতা :
মৌলভীবাজারের রাজনগরের মুন্সিবাজারে আওয়ামী লীগের বর্তমান চেয়ারম্যান ছালেক মিয়া ও আওয়ামী লীগ সমর্থক চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী রাহেল হোসেনের লোকজনের মধ্যে দুই ঘন্টা ব্যাপি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ ১১ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়েছে। এতে উভয়পক্ষে অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত ছালেক মিয়ার ভাই জুনেদ মিয়াকে ঢাকার একটি বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় মুন্সিবাজারে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মুতায়েন করা হয়েছে। শুক্রবার রাত ১০টায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মুন্সিবাজার ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা ছালেক মিয়ার কাছে নোয়াটিলা গ্রামের বশর মিয়া নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ আসছিল। শুক্রবার দিনে চেয়ারম্যান ছালেক মিয়া বশর মিয়াকে মুন্সিবাজারে পেয়ে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন জনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ধমকান। বশর মিয়া বিষয়টি তার গ্রামের আওয়ামী লীগ সমর্থক চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী রাহেল হোসেনকে জানান। এনিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয় এবং সংঘর্ষেও পরিস্থিতি তৈরী হয়। ইফতারের পরে উভয় পক্ষের লোকজন জড়ো হয়ে সংঘর্ষেও আশঙ্কা দেখা দিলে রাজনগর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। পরে রাত পৌনে ১০টার দিকে নোয়াটিলা গ্রামের চেয়ারম্যান পদর্প্রাথী রাহেল হোসেনের নেতৃত্বে তার লোকজন বিভিন্ন প্রকারের অস্ত্র নিয়ে বাজারে অবস্থান নেয়। এসময় তারা বর্তমান চেয়ারম্যান ছালেক মিয়ার ভাই জুনেদ মিয়াকে (৪২) পেয়ে দেশিয় অস্ত্র দিয়ে মারধর করে এতে তিনি গুরুতর আহত হন। খবর পেয়ে চেয়ারম্যানের লোকজনও বাজারে অবস্থান নিলে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় উভয়পক্ষই দেশিয় ও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে বলে প্রত্যক্ষদর্শিরা জানান।
খবর পেয়ে রাজনগর থানার ওসি আবুল হাসিমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এসময় ১১ রাউন্ড ফাকা গুলি ছুঁড়ে।
এ ঘটনায় উভয়পক্ষে – জুনেদ মিয়া (৪২), জুয়েল (২৩), সুমন দাস (২৯), আফজল মিয়া (২০), ফারুক মিয়া (৪৮), আলীম মিয়া (২৯) রাহেল হোসেন (চেয়ারম্যান প্রার্থী) (৩৭), মিটন মিয়া (৩০), শাহীন মিয়া (২৫), রুবেল আহমদসহ (২৫) অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন।
গুরুতর আহত জুনেদ আহমদকে প্রথমে সিলেট ও পরে ঢাকার একটি বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উভয়পক্ষ মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে।
খবর পেয়ে মৌলভীবাজারের অতিরিক্তি পুলিশ সুপার আবু নাসের রিকাদ্দার , অতিরিক্তি পুলিশ সুপার (সদও সার্কেল) জিয়াউর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পিরিদর্শন করেন।
রাজনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসিম বলেন, বশর মিযা নামে এক ব্যক্তিকে নিয়ে কথা কাটাকাটি নিয়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িছে। একটি পক্ষ আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যহার কওে অবস্থান নিয়েছে বলে শুনেছি। তবে ভিডিও ফুটেজে বিষয়টি পরিষ্কার হয়নি। পুলিশ ৫ জনকে আটক করেছে। উভয়পক্ষ মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।