গরমে নগরীতে মানুষের হাঁসফাঁস

9
বৈশাখের খড়তাপে পুড়ছে দেশ, কাঠফাঁটা গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। গরম সহ্য করতে না পেরে সাধারণ মানুষজনের অনেকেই আশ্রয় নিচ্ছেন সড়কের পাশের গাছের ছায়ায় কিংবা রেল স্টেশনের প্লাটফর্মে। মানুষের পাশাপাশি ভালো নেই প্রাণীকূল। গরম থেকে পরিত্রাণ পেতে পানির পাইপ থেকে পানি পান করছে কবুতর। ছবিটি সিলেট নগরীর দক্ষিণ সুরমা এলাকার রেল স্টেশন থেকে তোলা। ছবি-মামুন হোসেন

স্টাফ রিপোর্টার :
বৈশাখ মাস অর্ধেক হয়ে আসলেও সিলেটের আকাশে মেঘের দেখা নেই। আছে শুধু সূর্যের চোখ রাঙানি। এদিকে তাপদাহে কাবু প্রাণিকূল। এ যেন আগুনের হল্কা বিঁধছে শরীরে। গরমে হাঁসফাঁস করছে মানুষ। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এমন অসহনীয় গরম চলবে আরও কয়েকদিন।
এদিকে বেলা বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সূর্যের তেজ যেন অগ্নি রূপে ঝরে পড়ছে। সূর্য ডোবার পরও তাপমাত্রা কমছে না। শীতল হচ্ছে না চারপাশ। শরীর জ্বালানো এই তাপের হাত থেকে রেহাই মিলছে না কারও।
সিলেট আবহাওয়া কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ জানান, সিলেট জুড়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এটা অস্বাভাবিক তাপমাত্রা নয়। বৈশাখে বৃষ্টি না থাকায় এমন আবহাওয়া। চলমান এ তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে আরও সপ্তাহখানিক। তবে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তিনি আরও জানিয়েছেন, আজ বুধবার ভোরে সিলেটে কালবৈশাখীকে সঙ্গী করে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও এই বৃষ্টিতে তাপমাটায় কোনো হের ফের হবে না। ইতোমধ্যে সিলেটে অনেক এলাকায় তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে।
গতকাল সিলেটে ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বিরাজ করছিলো জানিয়ে তিনি বলেন, সিলেটে গতকাল মঙ্গলবারের তাপমাত্রা ৩২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা গত তিন-চারদিন থেকে বিরাজ করছে। তবে সিলেটের সর্বোচ্চ তাপমাতা ছিলো ২০১৪ সালের মে মাসে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে সিলেট প্রচুর বৃষ্টিপাত রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, মে মাসের শুরু থেকে সিলেটে প্রচুর বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তখন তাপমাত্রা কিছুটা কমতে শুরু করবে।