স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীতে লকডাউনে টানা ১১ দিন বন্ধ থাকার পর তালা খুলেছে শপিং মল-দোকানপাটের। গতকাল রবিবার সকাল থেকে সীমিত আকারে ক্রেতাও আসতে থাকেন। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতার সমাগম বাড়তে থাকে।
তবে সরকার থেকে সময় বেধে দেয়ায় ভিড় সামাল দেয়া কিছুটা কঠিন হয়ে পড়বে দাবি করে ব্যবসায়ীরা বলছেন প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার সময় আরও বাড়াতে হবে।
সরেজমিনে কয়েকটি মার্কেট ও শপিংমল ঘুরে দেখা গেছে, টানা ১১ দিন পর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলার কারণে সকাল থেকেই মালিক কর্মকর্তারা ছিলেন ব্যস্ত। দোকানের তালা আর শাটার খেলেন ঠিক ১০ টার দিকে। কয়েক দিনের বিরতি দোকানপাটে ময়লার পড়েছে। সেগুলোকে পরিষ্কার করে আর সাজ গোছ করে প্রস্তুতি নেন ক্রেতা টানতে।
দোকানীরা জানান, বৈশাখের বাজার হারিয়েছেন। রোজাও চলে গেছে ১১টা। তবুও তারা আশায় মৌসুমটা হারাবেন না।
এদিকে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আসতে থাকেন ক্রেতা সাধারণ। শিশুদেরও সাথে এনেছেন অনেকে। কিছু মানুষ সচেতন থাকলেও উদাসীনতা অনেকেরই। তবে বড় শপিং মলগুলোতে স্বাস্থ্য সতর্কতায় বেশি কড়াকড়ি। জীবাণুনাশক টানেল দিয়ে প্রবেশ ও দোকানে দোকানে স্যানিটাইজার দেয়া হচ্ছে ক্রেতাদের হাতে।
নগরীর হাসান মার্কেট, মধুবন, শুকরিয়া মার্কেটসহ প্রায় সবকটি মার্কেটেই দেখা গেছে ক্রেতাদের ভিড়। বিশেষ করে থান কাপড়ের দোকান, শিশু ও মহিলাদের কাপড়ের দোকানে বেশি ভিড় লক্ষ করা গেছে।
অপরদিকে শপিংমল খোলার সঙ্গে সঙ্গে স্বাভাবিকভাবেই সড়কে যানবাহনের পাশাপাশি বেড়েছে মানুষের উপস্থিতিও। নগরীর প্রায় প্রত্যেকটি সড়কে ছিলো গতকাল যানজট। নগরীর তালতলা, বন্দরবাজার, জিন্দাবাজার, চৌহাট্টা, আম্বরখানা, সোবহানীঘাট, উপশহর, হুমায়ুন চত্বর এলাকায় ফুটপাত ও অলি-গলিতে মানুষের উপস্থিতিও বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে।
আইনশৃঙ্খলাবহিনীর সদস্যরা বলছেন, সব দোকানপাট, শপিংমল এবং মার্কেট খোলার কারণে সিলেট নগরীতে যানবাহন ও মানুষের চাপ বেড়েছে। গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি না দেয়ায় সিএনজি, মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকারে মার্কেট, কর্মস্থল ও প্রয়োজনীয় কাজে যাচ্ছেন মানুষ। তাই মুভমেন্ট পাস আছে কি না কিংবা জিজ্ঞাসাবাদ করা সম্ভব হচ্ছে না।
উল্লেখ্য-করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ১৪ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত প্রথম দফার কঠোর লকডাউন শেষ হয়। তবে পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় আরও এক সপ্তাহের জন্য কঠোর লকডাউনের সুপারিশ করে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। ২২ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে দ্বিতীয় দফার লকডাউন যা শেষ হবে ২৮ এপ্রিল।