কাজিরবাজার ডেস্ক :
ইন্দোনেশিয়ার সেনাবাহিনীর প্রধান জানিয়েছেন, নিখোঁজ সাবমেরিনের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। তবে সাবমেরিনটিতে থাকা ৫৩ জনের জীবিত পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। কারণ, শনিবারের শুরুতেই সাবমেরিনের অক্সিজেন শেষ হয়ে যায়।
ইন্দোনেশিয়ার বিমানবাহিনীর এয়ার মার্শাল হাদি তজাহানতো বলেন, নিখোঁজ সাবমেরিনের যে বস্তু পাওয়া গেছে তাহলো এক বোতল লুব্রিকেন্ট এবং টর্পেডো (বিস্ফোরক) সুরক্ষা যন্ত্র। এসব বস্তু সাবমেরিনের সর্বশেষ স্থানে পাওয়া গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সাবমেরিনে বিস্ফোরণ না হলে এসব জিনিস বের হয়ে আসতো না। সুতরাং ধারণা করা হচ্ছে, সমুদ্রের অনেক নিচে যাওয়ার কারণে সাবমেরিনটিতে বিস্ফোরণ ঘটেছে।
এর আগে ইন্দোনেশিয়ার নিখোঁজ সাবমেরিনে অক্সিজেন ফুরিয়ে আসার আশঙ্কা করেন উদ্ধারকারী দল। ২১ এপ্রিল বালি দ্বীপের উত্তরে মহড়ার সময় ৫৩ নাবিকসহ সাবমেরিনটি নিখোঁজ হয়। ইন্দোনেশিয়ার অন্তত ছয়টি যুদ্ধজাহাজ, একটি হেলিকপ্টার ও ৪০০ মানুষ সাবমেরিনটি অনুসন্ধান করে শুরু করে। কেআরআই নানগালা-৪০২ নামের ওই সাবমেরিনের খোঁজে ইন্দোনেশিয়ার সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছে বেশ কয়েকটি দেশ। সাবমেরিনটি হন্য হয়ে খুঁজছে অস্ট্রেলিয়া, ভারত, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুর। আজ শনিবার ভোরে প্রয়োজনীয় সহায়তা নিয়ে বালিতে নেমেছে মার্কিন নৌবাহিনীর একটি উড়োজাহাজ।
শনিবার সকালে ইন্দোনেশিয়ার এক সামরিক মুখপাত্র বলেন, নিখোঁজ সাবমেরিনে থাকা নাবিকদের প্রায় ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত টিকে থাকার মতো পর্যাপ্ত অক্সিজেন ছিল। স্থানীয় সময় গত শুক্রবার দিবাগত রাত তিনটা পর্যন্ত অক্সিজেনের ঘাটতি হওয়ার কথা ছিল না তাদের। কিন্তু এ সময়সীমা পার হয়ে গেছে।
ইন্দোনেশিয়ার পাঁচটি সাবমেরিন রয়েছে। সেগুলোর একটি হচ্ছে কেআরআই নানগালা-৪০২। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের তথ্যমতে, সত্তর দশকের দিকে এই সাবমেরিন তৈরি হয়। ২০১২ সালের আগে দক্ষিণ কোরিয়ায় দুই বছর ধরে এটি মেরামত করা হয়। ইন্দোনেশিয়ার নৌবাহিনীর একজন মুখপাত্র বলেন, এই প্রথম ইন্দোনেশিয়ার কোনো সাবমেরিন নিখোঁজের ঘটনা ঘটল। তবে সাবমেরিন নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা এটাই প্রথম নয়; ২০১৭ সালে আর্জেন্টিনার সেনাবাহিনীর একটি সাবমেরিন ৪৪ জন নাবিকসহ নিখোঁজ হয়। এক বছর পর এর ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়। কর্মকর্তারা ওই সাবমেরিনে বিস্ফোরণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন।