লকডাউন কার্যকরে নগরীর ১৪টি পয়েন্টে বাঁশর ফেলে ব্যারিকেড

12
ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে রাস্তায় বাঁশ ফেলে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে কার্যকর করা হচ্ছে লকডাউন। ছবি- মামুন হোসেন

স্টাফ রিপোর্টার :
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে কার্যকর লকডাউন বাস্তবায়নে নগরীর ১৪টি পয়েন্টে বাঁশ দিয়ে বেড়া (ব্যারিকেড) দিয়েছে এসএমপি পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ। যার মধ্যে নগরীর মধ্যে ৮টি পয়েন্ট রয়েছে বাকি ৬টি পয়েন্ট নগীরর বাইরের এলাকাগুলোতে। গতকাল সোমবার বেলা ১২টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত উপ কমিশনার জ্যোতির্ময় সরকার।
যে ১৪ পয়েন্টে বাঁশের বেড়া দিয়ে কার্যকর লকডাউন বাস্তবায়ন করা হয় সেই সড়কগুলো হলো, আম্বরখানা, বন্দরবাজার, তালতলা, টিলাগড়, মদিনা মার্কেট, হুমায়ুন রশিদ চত্বর, অতিরবাড়ি, শ্রীরামপুর বাইপাস, পারাইর চক, বটেশ্বর, এয়ারপোর্ট রোড, রিকাবীবাজার, লামাবাজার, জিন্দাবাজার ও কাজীরবাজার সেতুর দক্ষিণ পার্শ্ব।
গতকাল সকালে নগরী আম্বরখানা, মদিনা মার্কেট,রিকাবীবাজার ও লামাবাজার এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সড়কের একদিকে বাঁশ দিয়ে আটকানো সড়ক। যাতে একপ্রান্তের গাড়ি অন্যপ্রান্তে যেতে না পারে। তবে এক পাশে একটু ফাকা রাখা হয়েছে, সেখান দিয়ে জরুরী সেবার গাড়িগুলোকে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। এছাড়া এসকল চেকপোস্টে অননুমোদিত প্রাইভেটকার, রিক্সা, মোটরসাইকেলসহ পায়ে হাঁটা মানুষদের জেরা মুখে পড়তে হচ্ছে। যৌক্তিক কারণ ছাড়া কেউই প্রবেশ করতে পারছেন না।
এ ব্যাপারে জ্যোতির্ময় সরকার বলেন, পুলিশ সরকারি নির্দেশনা প্রতিপালনে কাজ করছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে বুধবার থেকে লকডাউন শুরু হয়েছে। কিন্তু লকডাউনের শুরু থেকেই দেখা গেছে অনেকেই বিভিন্ন অজুহাতে বাসাবাড়ি থেকে বের হচ্ছেন। তাই লকডাউন কার্যকর করতে সিলেটের সড়কের ১৪টি পয়েন্টে বাঁশের বেড়া দেয়া হয়েছে। এতে কেউ চাইলেই হুট করে গাড়ি নিয়ে যেতে পারবেন না।
তিনি বলেন, প্রতিটি বেড়ার সামনেই পুলিশের চেকপোস্ট রয়েছে। এতে যে সকল অনুমোদিত গাড়িগুলো রয়েছে তারা যদি পুলিশের কাছে যথাযথভাবে প্রমাণ দিতে পারেন তাহলে তাদের ছাড়া হচ্ছে। অন্যথায় অননুমোদিত গাড়িগুলোকে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে।
এদিকে জনগণকে আরও বেশি সচেতন হতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণ সচেতন না হলে কোনোদিন এই সীমিত জনবল দিয়ে কোটি কোটি মানুষকে সচেতন করা সম্ভব হবে না। তার পরও দিন-রাত জনগণের সেবা করছে পুলিশ। কাজেই করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান এই কর্মকর্তা।