ছাতক থেকে সংবাদদাতা :
ছাতকে গাড়ি পার্কিংকে কেন্দ্র করে দু’গ্রামবাসীর সংঘর্ষে অন্তত অর্ধ শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছে।
গুরুতর আহত ২০জন ভর্তি করা হয়েছে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে উপজেলার কালারুকা ইউনিয়নের হাসনাবাদ ও করছখালী গ্রামবাসীর মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার সন্ধায় স্থানীয় হাসনাবাদ বাজারে গাড়ি পার্কিং নিয়ে করছখালী গ্রামের ওলিউর রহমান ও হাসনাবাদ গ্রামের রুহুল আমিনের মধ্যে কথা কাটা-কাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জের ধরে মঙ্গলবার সকালে দু’ গ্রামের লোকজন তুমুল সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এক পার্যায়ে সংঘর্ষকারীরা হাসনাবাদ রেল লাইনের উপর অবস্থান নিলে সংঘর্ষ ভয়াবহ রূপ নেয়। সংঘর্ষে রেললাইনে ব্যবহৃত পাথর, ইট-পাটকেল ও দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করা হয়। প্রায় ঘন্টা ব্যাপী দফায়-দফায় সংঘর্ষে উভয় পক্ষে অন্তত অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়। গুরুতর আহত হাজী কদরুল ইসলাম, সদরুল ইসলাম, আরশ আলী, শামছু মিয়া, সাগর আহমদ, শামসুল হক, সফির উদ্দিন সাদ্দাম, বিলাল আহমদ, নুমান আহমদ, ওয়ারিছ আলী, সফিকুল হক, সাহাব উদ্দিনসহ অন্তত ২০ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নুরুল ইসলাম, সুজন মিয়া, রইছ আলী, বাহাউদ্দিন শাহী, খালিদ মিয়া, আব্দুল হাই, আরকান আলী, হাবিবুর রহমান হবীল, জয়নাল মিয়া, নুর আলম, আব্দুর রহিম, আব্দুল আউয়াল, কবির আহমদ, আব্দুল আলীম, জাহির আলী, ছোরাব আলী, মামুন আহমদ, হাফিজুর রহমান, ওলিউর রহমান, লোকমান আহমদ, আব্দুল বাসিত, দুলাল আহমদ, সাইদুল মিয়া, খছরু মিয়া, আজাদ মিয়া, আব্দুস সবুর, খালেদ মিয়াসহ আহতদের ছাতক হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। স্থানীয় লোকজনের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। খবর পেয়ে ছাতক থানার ওসি (তদন্ত) মিজানুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ছাতক থানার ওসি নাজিম উদ্দিন এ ব্যাপারে জানান, পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।