তাহিরপুর থেকে সংবাদদাতা :
৭ বছর অপেক্ষার পরও স্বাস্থ্যসেবা মিলছেনা তাহিরপুরের মুজরাই ক্লিনিকে। উপজেলার টাঙ্গুয়ার হাওর এলাকার পাটলাই নদীর পাড়ের মুজরাই কমিউনিটি ক্লিনিকের অবস্থান। স্বাস্থ্যসেবা শুরু না হওয়ায় দুর্ভোগ কমছেনা এলকার সুবিধাবঞ্চিত মানুষগুলোর। স্বাস্থ্য সেবার সুযোগের অভাবে প্রত্যন্ত হাওরাঞ্চলের ১২টি গ্রামের শিশু, বৃদ্ধা,গর্ভবতী নারীরা দিনের পর দিন, ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
জানাযায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারনে দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার কমিউনিটি ক্লিনিকের নির্মাণ কাজ দায়সারাভাবে সম্পুর্ন করায় চরম দুর্ভোগের শিকার হন সবাই। গত তিনবছর পূর্বে ইরা(হেলথ ওয়াস প্রকল্প তাহিরপুর এর মাধ্যমে পুনরায় এ ক্লিনিকের নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করা হলেও, চিকিৎসা সেবা চালু করার যেন কেউ নেই।এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে বহুবার সংবাদ প্রকাশ হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আমলে নিচ্ছেন না।
স্থানীয়রা জানান উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের পাটলাই নদীর পাড়েই মুজরাই কমিউনিটি ক্লিনিক। ক্লিনিকের পাঁশ দিয়েই পাটলাই নদীর বহমান। নদীপথেই প্রতিনিয়ত আনাগোনা হয় সরকারের বিভিন্ন মহলের কর্মকর্তাগনের। আজ প্রায় ৭বছর যাবৎ কারো নজর কাড়েনি এই তালাবদ্ধ কমিউনিটি ক্লিনিকটি।
তারা জানান বর্তমান সরকারের কড়া নজরদারি থাকা সত্ত্বেও কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ হলেও কর্তৃপক্ষের অবহেলায় ৭ বছর ধরে স্বাস্থ্যসেবা হতে বঞ্চিত অসহায় খেটে জনগোষ্ঠী ।
স্থানীয় অবহেলিত অঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্যসেবার ভোগান্তি দূর করতে উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের মুজরাই গ্রামের রমেন্দ্র বর্মন নামের এক শ্রমজীবী ব্যাক্তি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণের জন্য ভূমি দান করেন। এই ভূমিতে এইচ,ই,ডি(হেলথ ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট)তাদের নিয়োগ প্রাপ্ত কন্ট্রাক্টরের মাধ্যমে এই ক্লিনিকের নির্মাণ কাজ শুরু করে প্রায় ৭ বছর পূর্বে। বিতর্কিত ভাবে ক্লিনিকটির নির্মাণ কাজ শেষ করে ২০১৮ সালে। ফলে বৃষ্টি হলেই হলেই ক্লিনিকের ছাঁদ দিয়ে পানি পড়ে এছাড়াও নির্মাণ কাজের অন্যান্য অংশে নাজুক হওয়ায় ২০১৯সালে ইরা(হেলথ ওয়াস)প্রকল্প তাহিরপুর এর মাধ্যমে পুনরায় কাজ সমাপ্ত করা হলেও এখন চালু হয়নি স্বাস্থ্যসেবা।
এই ক্লিনিকটিতে স্বাস্থ্যসেবা চালু না হওয়ায় টাংগুয়ার হাওর পাড়ের জয়পুর, ছিলানী তাহিরপুর, ইসলামপুর,জয়পুর নতুনহাটি, গোলাবাড়ি, শ্রীয়ারগাঁও, মন্দিয়াতা, মইয়াজুরি, কামালপুর, মন্দিয়াতা কান্দাহাটি,ও মুজরাই সহ ১২টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ স্বাস্থ্যসেবা হতে বঞ্চিত। বিশেষ করে এই প্রত্যন্ত হাওরাঞ্চলের গর্ভবতী মহিলারা খুববেশী দুর্ভোগে রয়েছে।
ক্লিনিকের পাশ্ববর্তী মন্দিয়াতা গ্রামের বাসিন্দা, মন্দিয়াতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সানজু মিয়া ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন আমাদের এই প্রত্যন্ত হাওরাঞ্চলে ক্লিনিক নির্মাণ হলেও আজ চালু হয়নি স্বাস্থ্যসেবা।উনি ক্লিনিকটিতে অতিদ্রুত চিকিৎসা সেবা চালু করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সদয় দৃষ্টি কামনা করেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃইকবাল হোসেন এর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার জন্য একাধিকবার চেষ্টা করলেও উনার ফোনটি বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।