জেড.এম.শামসুল :
বছর শুরুর দ্বিতীয় মাসে সিলেট অঞ্চলে বিভিন্ন স্থানে ৬১ জনের অপ-মৃত্যু ঘটেছে। এ গুলোর মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনায়, খুন-খারাবি, হত্যা-আত্মহত্যা সহ বিভিন্ন স্থান থেকে মৃতদেহ উদ্ধার, অগ্নিদুগ্ধ হয়ে, জলে ডুবে, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে, গ্যাস বিস্ফোরণে, মাটি চাপায়, এসব অপমৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, গত ১ ফেব্রুয়ারি জকিগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় কাওসার আহমদ (৩০), কোম্পানিগঞ্জে ট্রলি চাপায় আহসান উদ্দিন (১৫), নগরির লালবাজারে দুবৃত্তের হাতে পল্লি চিকিৎসক হায়াত আলী (৫০) খুন। ২ ফেব্রুয়ারি কুলাউড়ায় চাচাতো ভাইয়ের হাতে প্রবাসী কামাল হোসেন (৩০)। ৪ ফেব্রুয়ারি নগরির হাওলাদার পাড়ায় প্রতিপক্ষের হাতে রাজু দাস (২২) খুন হয়, এদিন জাঙ্গাইলে সড়ক দুর্ঘটনায় সিএনজি চালক আব্দুল মালেক (২৬), ছাতকে বড় ভাইয়ের হাতে ছোট ভাই পারভেজ মিয়া (৩৮) প্রাণ হারায়। ৫ ফেব্রুয়ারি বাহুবলে প্রতিপক্ষের হাতে জামাল মিয়া (২৫), লাখাইয়ে নিখোঁজ হওয়ার ৪দিন পর ডোবা থেকে জুবায়ের মিয়া (১৮) এর মৃতদেহ উদ্ধার। ৬ জানুয়ারি জগন্নাথপুরে স্ত্রীর হাতে বৃদ্ধ আলেক মিয়া (৬৫) খুন হয়, মাধবপুরে ট্রাক চাপায় কার চালক তমিজ মিয়া (৪০), বানিয়াচংয়ে ঘরে ঢুকে দুবৃর্ত্তরা জাকিরা খাতুন (৬৫) খুন করে, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের পাম্প অপারেটার বাবুল মিয়া (৪৮) আত্মহত্যা করে।
৭ ফেব্রুয়ারি শ্রীমঙ্গলে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর আসমা বেগম (২২)‘র মৃতদেহ উদ্ধার, কুলাউড়ায় ট্্েরনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত (৫৫), দিরাইয়ে সংঘর্ষে আহত আব্দুল জব্বার (৫২), দিরাইয়ে এক সংর্ঘষে আব্দুল জব্বার (৫০)। ৮ ফেব্রুয়ারি নবীগঞ্জে পিকআপ চাপায় জামাল মিয়া (৩৮)। ৯ ফেব্রুয়ারি বড়লেখায় ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই খলিল উদ্দিন (৫৫), বড়লেখায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত আমিনুর রহমান (৬০), ১২ ফেব্রুয়ারি গোলাপগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে সালমা বেগম (৬০), ১৩ ফেব্রুয়ারি ওসমানি নগরে পানিতে ডুবে নাকিব (৮) ও হাফছা (৪) ভাই ও বোনের মৃত্যু, দিরাইয়ে ইজিবাইকের নিচে পড়ে জয়তুন বিবি (৪৬), কমলগঞ্জে গাছ চাপায় লালমতি বানু (৫০), ১৪ ফেব্রুয়ারি জৈন্তায় ট্রাক দুর্ঘঠনায় চালক খোকন (২৭) হেলপার রাসেল আহমদ (৩৫), গোয়াইনঘাটে গ্যাস লাইটের আগুনে জান্নাত (৫) অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যায়।
১৫ ফেব্রুয়ারি গোলাপগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় আতহার আলী (৬৫), ১৬ ফেব্রুয়ারি জকিগঞ্জে গাছ থেকে পড়ে সোহেল আহমদ (২৩), লাখাইয়ে গৃহবধূ অঞ্জণা রানী সূত্রধর (২৮), নবীগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় বাবুল মিয়া (৫০), ১৭ ফেব্রুয়ারি টুকের বাজারে ট্রাক চাপায় স্বপন কুমার দাশ (৩৮), ১৮ ফেব্রুয়ারি শহরতলির শাহপরান এলাকায় সৎ পুত্রের হাতে মা রুবিনা বেগম (৩০),বোন মাহা বেগম (৯), ভাই তাহসিন (৭) খুন হয়। নবীগঞ্জে ট্রাক চাপায় মাইক্রো চালক শফিকুল ইসলাম (৩০), ১৯ ফেব্রুয়ারি বড়লেখায় গৃহবধূ লিপি আকতার (১৯)‘র জুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার, বাহুবলে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে ছমেদ মিয়া (৭৫)। ২০ ফেব্রুয়ারি নগরির বন্দর পয়েন্টে সি এন জি‘র চালকের হাতে এক ব্যাংক কর্মকর্তা মওদুদ আহমদ (৩৫) খুন হন। ২৩ ফেব্রুয়ারি বাহুবলে অটোরিস্কা চাপায় তোফায়েল মিয়া (১৮), তাহিরপুরে ট্রলি চাপায় শহিদুল্লাহ (৯), জগন্নাথপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নজির আহমদ (৩০)। ২৪ ফেব্রুয়ারি মেজরটিলায় বাসার ছাদ থেকে পড়ে প্রবাসীর স্ত্রী সুলতানা বেগম (৪০) মারা যান।
২৫ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ সুরমার গোটাটিকরে আলমগীর (১৭) নামক এক যুবক আত্মহত্যা করে, চুনারুঘাটে গাছের ডাল পড়ে ব্যবসায়ী আব্দুল্লাহ মিয়া (৪০), এদিন রাতে দক্ষিণ সুনামগঞ্জে দুর্বৃত্তের হাতে দিপু বিস্বাস (৩৫) খুন হয়, বাহুবলে গাড়ি চাপায় পথচারি কেতন মিয়া (৬৫) মারা যান। ২৬ ফেব্রুয়ারি সিলেটে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় রশিদ পুরে দু‘টো বাসের মুখোমুখি সংর্ঘষে ডাঃ অলি মাহমুদ ইমরান রুমেল (৪৫), এনা বাসের চালক মঞ্জুর আলী (৪০), সালমান আহমদ খান (৩০), হেলপার জাঙ্গগীর হোসেন (২৫), নুরুল আলম (৫০), নাদিম হোসেন সাগর (১৯), শাহ কামাল (৪৫), রহিমা বেগম (৪০), এদিন হবিগঞ্জে ইজিবাইক চাপায় চালক আবেদুর রহমান সুয়াগ (২০। ২৭ ফেব্রুয়ারি কোম্পানিগঞ্জে সালিশ বৈটক থেকে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে ব্যবসায়ী ইজ্জাজ আলী (৪৫) খুন হন, মৌলবী বাজারে অভাবের তাড়নায় ফরিদা বেগম (১৫), গোলাপগঞ্জে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে মোহন লাল (৩০) মারা যায়। ২৮ ফেব্রুয়ারি বাহুবলে গৃহবধূ আকলিমা আকতার (২৫) রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু বরণ করেন।