সিলেটসহ সারাদেশে বিভিন্ন ধরনের অপরাধের সংখ্যা শুধু বেড়ে চলেছে, অপরাধ দমনের ব্যাপারে লঘু শাস্তি থাকায় অপরাধিদের সংখ্যা যেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে, তেমনি অপরাধের সংখ্যার তালিকা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
গতকয়েক দিন যাবত সিলেটসহ দেশে হত্যা, চুরি-ছিনতাইর ঘটনা ছাড়াও অনেক অপরাধমূলক ঘটনা ঘটেছে, ঘটনার সাথে অপরাধিরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরাও পড়েছে, কিন্তু অপরাধের সংখ্যা তো কমছে না। অপরাধিদের অপ-তৎপরতা রোধে অনেক পদক্ষেপ থাকলে ও এগুলো দমনের কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। সিলেট নগরিতে বহিরাগতদের আনা-গোনা দিনে রাতে দেখা গেলেও এদের অপতৎপরতা রোধে তেমন কোনো ব্যবস্থা পরিলক্ষিত হচ্ছে না। এসব অপরাধিদের মধ্যে কিশোর-যুবকের সংখ্যা বেশি, নগরির দু‘টো ব্রিজের আশপাশ, ছাড়াও নগরির প্রতিটি পয়েন্টের আসে-পাশে ২/৩ এর ঊর্ধ্বে কোনো কাজ-কর্ম ছাড়াই ঘুরাঘুরি করতে দেখা যায়। এদের ঘুরাঘুরি কারণ জানতে চাইলে বলে তারা বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করে, এদের বাড়ি-ঘর সিলেটে নয়, কাজের সন্ধানে সিলেটে আসার কথা বলে তারা নগরিতে ছড়িয়ে বেড়াচ্ছে। এ সব বহিরাগত কিশোররা অবাদে অপরাধ ঘটিয়ে নগরী থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
সম্প্রতি অনেক অপরাধের সাথে জড়িত দুর্বৃত্তদেরকে সিলেটের বাহিরের জেলা থেকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এসব অপরাধমূলক ঘটনার সাথে জড়িতদেরকে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার জন্যে প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট বিভাগ এগিয়ে আসতে হবে।
বিশেষজ্ঞ মহলের মতে; নগরির সবধরণের অপরাধের সাথে বহিরাগতরাই সবচেয়ে বেশী জড়িত সেহেতু নগরিতে অবস্থারত বহিরাগত কিশোরদের ঘুরাঘুরির প্রতি দৃষ্টি রেখে এবং রাতে সব ধরনের কিশোরদের আড্ডা বন্ধে পদক্ষেপ নিয়ে নগরির অপরাধ কমিয়ে আনতে হবে। যাতে নগরিতে আগত পর্যটক ছাড়াও সাধারণ মানুষ অপরাধিদের দ্বারা লাঞ্ছিত না হয়। অপরাধ দমনে বাস্তব পদক্ষেপ চায় সিলেটবাসি, ইহাই জন-প্রত্যাশা।