রোগ হিসেবে যার বয়স হাজার বছরের, প্রসার-প্রতিপতিত্বে গজেন্দ্রগামী, আহ্বায়ক অনেক অসংক্রামকের, মহামারী আকারে যার বিস্তার বীভৎসতায় ভাবিয়ে তুলছে গোটা বিশ্বকে তাকে চিনতে-জানতে, নিয়ন্ত্রণে প্রতিরোধের নাকি এখনই সময়। সেই সর্বনাশা শত্রুরূপী রোগটির নাম ডায়াবেটিস। যুগে যুগে, দেশে দেশে তার হরেক নাম- মধুমেহ, বহুমূত্র, ডায়াবেটিস মেলিশাস, এন্ডোক্রাইন এবং মেটাবলিক ডিসঅর্ডারস। গোটা বিশ্ব করোনার ভয়াল থাবায় এখন স্থম্ভিত। প্রতি ৮ সেকেন্ডে একজন করে ডায়াবেটিক রোগী মারা যাচ্ছে- এই ভয়াবহ সংবাদ ভাবিয়ে তুলছে মানুষকে। নীরব ঘাতক স্বভাবের ডায়াবেটিক রোগটি এমনিতেই দেহে বহু ব্যাধির (চোখ, হার্ট, কিডনিসহ মূল্যবান অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ব্যাপক ক্ষতিসাধনে সক্ষম) আহ্বায়ক। বৈশি^ক মহামারী করোনা মোকাবেলায় যেমন সচেতন হতে হবে, ঠিক তেমনি ডায়াবেটিস প্রতিরোধে নিয়মনীতি মানতে হবে। টিকা গ্রহণ করে কোভিড আর সুশৃংখল জীবন-যাপনের মাধ্যমে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে হবে।
সিলেট ডায়াবেটিক সমিতি কর্তৃক আয়োজিত ডায়াবেটিস সচেতনতা দিবস এর আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্য প্রদান কালে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডা: এম. এ. আহবাব।
২৮ ফেব্রুয়ারী রবিবার বেলা ১২টায় সমিতির সভা কক্ষে সিলেট ডায়াবেটিক হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: ললিত মোহন নাথ এর পরিচালনায় সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন হাসপাতালের অফিস সহকারী মোঃ লিয়াকত হোসেন।
স্বাগত বক্তব্যে সিলেট ডায়াবেটিক সমিতির কার্যকরি কমিটির সম্মানিত সদস্য আফতাব চৌধুরী বলেন, প্রায় ৬৫ বছর পূর্বে ডায়াবেটিস রোগ এর জন্মলগ্ন থেকে এ দিবসটি পালনের প্রক্রিয়া চলছে, যাতে করে জনগণের মাঝে ডায়াবেটিস সর্ম্পকে সচেতনতা বৃদ্ধি পায়। তারই ধারাবাহিকতায় আমাদের আজকের এ আয়োজন। শারীরিক শ্রম, নির্দিষ্ট সময়ে ও নির্দিষ্ট পরিমান খাওয়া এবং ওজন ঠিক রাখাসহ সচেতনা এই রোগ থেকে মুক্তির একমাত্র পথ।
উক্ত আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আমন্ত্রিত অতিথি কবি ইসমত আরা চৌধুরী, কার্যকরি কমিটির সম্মানিত সদস্য এডভোকেট সিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ।
এদিকে নীরব ঘাতক ডায়াবেটিস রোগ সম্পর্কে জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সিলেট ডায়াবেটিক সমিতির উদ্যোগে হাসপাতাল প্রাঙ্গণে সকাল দশটা টা থেকে বেলা বারোটা পর্যন্ত বিনামূল্যে ডায়াবেটিস শনাক্তকরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন সিলেট ডায়াবেটিক সমিতির কার্যকরি কমিটির সম্মানিত সদস্য আফতাব চৌধুরী।
এছাড়াও বেলা ১১.৩০ টায় সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডা: এম. এ. আহবাব এর নেতৃত্বে হাসপাতাল প্রাঙ্গণ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিপাদ্য সম্বলিত ব্যানার সহকারে এক বর্ণাঢ্য র্যালী শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে হাসপাতাল প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। বিজ্ঞপ্তি