স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের রশীদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় ৮ জন নিহতের ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে অজ্ঞাতদের আসামী করে থানায় মামলা দায়র করা হয়েছে।
দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: মনিরুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় থানার এসআই লোকমান হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ২ বাস চালককে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন। শুক্রবার রাতে মামলাটি দায়ের করা হয়। একইসাথে ক্ষতিপূরণ হিসেবে একটি আর্থিক পরিমাণও মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানান ওসি।
এছাড়া এ ঘটনায় আহতদের অবস্থা উন্নতির দিকে বলে জানিয়েছেন ওসমানী মেডিকেল কলেজের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জয়নাল আবেদীন।
এদিকে আহত ডা. শারমিন আক্তার অন্তরার (২৯) শরীরে অস্ত্রোপচার সম্পন্নের পর তাকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে। গত শুক্রবার বিকেলে তার অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়, পরে রাতে তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণের জন্য আইসিউতে রাখা হলেও তার আইসিউ সাপোর্ট লাগছে না। গতকাল শনিবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিলেট ওসমানী হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটের (আইসিইউ) চিকিৎসক ডা. সোহেল আহমদ সরকার।
ডা. সোহেল আহমদ সরকার জানান, সকালে ডা. অন্তরার মুখে খাওয়া-দাওয়া করেছেন। তিনি সুস্থ রয়েছেন। তবে বার-বার তিনি তারা স্বামীর খোঁজ করছেন। তবে স্বজনরা তার স্বামী অন্য হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন বলেও জানালেও তিনি তা মানতে নারাজ। তিনি বলছেন “আমি সব জানি”।
এছাড়া রশিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় সিলেটের ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও ১৫ জন। তাদের সকলের অবস্থায় এখন ঝুঁকিমুক্ত। তবে এদের মধ্যে ৩ জনের হাতে ও পায়ে একাধিক ভাঙা থাকায় তাদের অবস্থা কিছুটা গুরুতর বিবেচনায় রেখেছেন চিকিৎসকরা।
এ ব্যাপারে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় জানান, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সকলেই স্বাভাবিক আছেন। তবে ৩ জনের হাত পায়ের বিভিন্ন জায়গায় একাধিক ভাঙ্গা থাকায় অবস্থা গুরুতর বিবেচনা করা হচ্ছে। আর বাকিদেরে ছোটখাটো জখম আছে। গুরুতর ৩ জনের মধ্যে নিহত ডা. ইমরান খানের স্ত্রীকে আইসিউতে রাখা হয়েছে। তবে তার আইসিউ সাপোর্ট লাগছে না। কিন্তু অতিরিক্ত রক্তক্ষরণসহ কয়েকটি কারণে তাকে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণের জন্য আইসিউতে রাখা হয়েছে।
এছাড়া গতকাল এ দুর্ঘটনায় আহত মোট ১৮ জন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, দুর্ঘটনার পর ওসমানী হাসপাতালে ১৮ জনকে চিকিৎসা দেয়া হলেও ২ নারীকে তাদের স্বজনরা ঢাকায় নিয়ে গেছেন। তারা ২ জন ঢাকার বাসিন্দা এবং তাদের কোমরসহ বিভিন্ন জায়গায় একাধিক ভাঙা ও গুরুতর জখম রয়েছে।