সড়ক দুর্ঘটনায় উদ্বেগ, সিলেটসহ সারা দেশে সড়ক দুর্ঘটনায জনসাধারণের মধ্যে উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। শুধু ২৬ ফেব্রুয়ারি বন্ধের দিন সিলেটসহ সারা দেশে ২৫ জন সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু বরণ করায় সাধারণ মানুষকে সড়ক পথে চলাচলের ব্যাপারে আতঙ্কের সহিত চলতে হচ্ছে। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সরকারের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নড়বড় হওয়ায় প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা বাড়ছে। ফলে দেশময় সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিদিনই যানবাহনের চাকায় পৃষ্ট হয়ে সর্বস্তরের মানুষ প্রাণ হারাতে হচ্ছে। এর প্রতিকার নেই ?
প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনায় শিশু-কিশোর, বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের মৃতের সংখ্যা দিন-দিন বেড়ে চলেছে, গত মাসের যত গুলো সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে এ গুলোতে শিশু-কিশোর, বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের সংখ্যাই বেশী। এসব দুর্ঘটনা সমূহ ঘটাচ্ছে দ্রুতগামী সি এন জি, ইজি বাইক, মটর বাইক, বিদ্যুৎ চালিত রিক্সা, যাত্রীবাহি বাস, মালপত্রবাহি ট্রাক ছাড়াও ব্যক্তি মালিকানায় চালিত প্রাইভেট যানবাহনের চাক্কায় পৃষ্ট হয়ে প্রাণ দিতে হচ্ছে অগণিত মানুষ। এ সব দুর্ঘটনা কমিটির পর জন-প্রতিরোধের তদন্তে নামে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে দুর্ঘটনার মূল ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হয়। এ সুযোগ নিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হতাহতের বিচার পেতে চরম হয়রানির শিকার হতে হয়। প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনার কতটি সুবিচার হয়েছে, তা কেহ জানে না, বা কোন মিডিয়ায় আসে না। দুর্ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না হওয়ায় সড়ক দুর্ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব দুর্ঘটনার প্রতিরোধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না থাকায় মাসুল দিতে হচ্ছে সাধারণ পথচারিদের। সড়ক দুর্ঘটনায় এত হতাহতের দায়ভার কে নেবে ?
সম্প্রতি সিলেট অঞ্চলে একই দিনে ৮জন ঘটনাস্থলে মর্মান্তিক ভাবে প্রাণহানি ও ১৫ জন গুরুতর আহতাবস্থায় স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। এদিনই শ্রীমঙ্গলে ইজিবাইকের মুখোমুখি সংর্ঘষে ইজিবাইক চালকের মৃত্যু ঘটে। একই দিনে সারা দেশে ২৫ জনের মধ্যে সিলেটে ৯ জনের মৃত্যুতে সিলেটবাসী মর্মাহত হয়ে পড়েছেন।
আমাদের দেশে শহর-শহরতলিতে সবধরনের যানবাহনের চালকদের মধ্যে অধিকাংশ চালক হেলপার থেকে চালক হয়েছে, এসব চালকদের কোনো ধরনের প্রশিক্ষণ ছাড়াই চালক হয়ে থাকায় যানবাহন চালানোর কোনো ধরনের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে যেমন-তেমন ভাবে যানবাহন চালাত গিয়ে দুর্ঘটনার সংখ্যা বাড়ছে। যা দেশের জন্যে শুভ নয়। তাই দেশে সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করতে দক্ষ চালকের বিকল্প নেই।