বিদেশি শিক্ষার্থীদের প্রধান গন্তব্য হওয়ার পথে চীনের বাধা করোনা

16

কাজিরবাজার ডেস্ক :
আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিষয়ে পড়তে চীন সরকারের কাছ থেকে শিক্ষাবৃত্তি পেয়ে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েছিলেন হিবা বরোকিয়া। তার জন্য সেটা ছিল নতুন আশা, নতুন উপজীব্য। কিন্তু এখন বসে বসে শুধু কাঁদেন ১৯ বছর বয়সী এ মরোক্কান কিশোরী। চীনের কঠোর বিধিনিষেধের কারণে কাসাব্ল্যাঙ্কায় নিজেদের বাড়িতে বসে পড়াশোনা করতে বাধ্য হচ্ছেন তিনি।
অবস্থা এমন হয়েছিল, একসময় চীনের আশা ছেড়ে দিয়ে স্থানীয় কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে যাওয়ার চিন্তা করেছিলেন হিবা। তবে বুঝতে পারছিলেন, মরক্কোর শিক্ষার মান কোনওভাবেই চীনের সমান নয়। একারণেই শেষপর্যন্ত হাল ছাড়েননি। এখনও ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করছেন, কবে ফিরতে পারবেন চীনে।
হিবার মতো বিশ্বজুড়ে অগণিত বিদেশি শিক্ষার্থীর স্বপ্ন ভাঙতে বসেছে বা ভেঙেই গেছে শুধু করোনাভাইরাস মহামারির কারণে। এটি বিদেশি শিক্ষার্থীদের প্রধান গন্তব্য হওয়ার পথে চীনের আশাও অনেকটা ম্লান করে দিয়েছে।
২০১৯ সালে বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যায় বিশ্বের মধ্যে তৃতীয় ছিল চীন। বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় পাঁচ লাখ শিক্ষার্থী পেয়েছিল তারা। এক্ষেত্রে চীনের ওপরে কেবল যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। অবশ্য বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যায় চীনের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ এগিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে। মহামারির কারণে চীনা প্রশাসন কঠোর বিধিনিষেধ দেওয়ার পর থেকে দেশটিতে বিদেশি শিক্ষার্থীদের প্রবেশ একপ্রকার অসম্ভবই হয়ে উঠেছে।
বিশ্বের প্রধান ‘শিক্ষাকেন্দ্র’ হয়ে ওঠার পথে চীনাদের সবচেয়ে বড় ভরসা আফ্রিকার শিক্ষার্থীরা। মহামারি আঘাত হানার আগে দেশটিতে ৮০ হাজারেরও বেশি আফ্রিকান শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছিলেন। আফ্রিকা থেকে শিক্ষার্থী টানায় ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র (৪৭ হাজার জন) ও যুক্তরাজ্যকে (২৯ হাজার জন) ছাপিয়ে গেছে চীনারা। এখন এগোচ্ছে সবার ওপরে থাকা ফ্রান্সের দিকে (১ লাখ ১২ হাজার জন)।