কাজিরবাজার ডেস্ক :
জাতিসংঘের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে (স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার) মিয়ানমার ইস্যুতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনা করেন সংস্থাটির মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক। এ সময় প্রশ্নোত্তর পর্বে উঠে আসে বাংলাদেশ সেনাপ্রধান ও ইসরায়েল থেকে গোয়েন্দা সরঞ্জামাদি কেনা নিয়ে আল-জাজিরায় প্রচারিত প্রতিবেদনের বিষয়টি। এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনের নামে বাংলাদেশ ইসরায়েল থেকে গোয়েন্দা নজরদারির সরঞ্জাম কিনেছে কি না। জবাবে এ ধরনের দ্বিপক্ষীয় চুক্তির অভিযোগ নাকচ করে দেন জাতিসংঘের মুখপাত্র।
বাংলাদেশের সেনাপ্রধানকে নিয়ে প্রকাশিত আল-জাজিরার প্রতিবেদন প্রসঙ্গে দুজারিক বলেন, শান্তিরক্ষা মিশনের জন্য বাংলাদেশ ইসরায়েল থেকে কোনো সরঞ্জাম কেনেনি। তাছাড়া বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি সম্পর্কে জাতিসংঘ অবগত আছে বলে জানান দুজারিক। তিনি বলেন, “দুর্নীতির অভিযোগ সব সময়ই গুরুতর ইস্যু। তবে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে এ রকম অভিযোগ থাকলে সেটি তাদের কিংবা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তদন্ত করা উচিত বলে মনে করে জাতিসংঘ।”
স্টিফেন দুজারিক আরও জানান, “শান্তিরক্ষা মিশনের সবচেয়ে বেশি জনবল বাংলাদেশের। এ ক্ষেত্রে দেশটির ভূমিকা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনের মতো কর্মসূচিতে প্রটোকল মেনেই সদস্য মোতায়েন করা হয়। আর বাংলাদেশ সেসব নীতিমালা মেনেই জাতিসংঘের সঙ্গে একযোগে কাজ করছে।” তিনি আরো বলেন, “আল-জাজিরার প্রতিবেদনে উল্লেখিত এমন কোনো সরঞ্জাম জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশনের জন্য প্রয়োজন পড়ে না। আর তাই বাংলাদেশ এ ধরনের সরঞ্জাম কেনার চুক্তি করেছে বলে জাতিসংঘের কাছে প্রমাণ নেই।”
সংবাদ সম্মেলনে দুজারিক আরো জানান, শান্তিরক্ষা মিশনের আওতাধীন দেশগুলোতে অবস্থানরত কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে এ ধরনের কোনো প্রযুক্তি ব্যবহার হলেও সেটি জাতিসংঘের নীতিমালা মেনেই করা হয়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কিংবা ফোর্স কমান্ডারের নির্দেশ ছাড়া এসব সরঞ্জাম ব্যবহারের কোনো সুযোগ নেই।