একে কুদরত পাশা সুনামগঞ্জ থেকে :
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে মত বিনিময় সভা করেছে হাওর বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটি। শনিবার সকাল ১১টায় পাউবো কার্যালয়ে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা থেকে জানান যায়, কাজ শুরু হওয়ার এক মাস ৮ দিন অতিবাহিত হলেও কাজ শুরু হয়েছে মাত্র ২০ শতাংশ বাঁধের।
হওর বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট বজলুল মজিদ চৌধুরী খসরুর নেতৃত্বে, কার্যকরী সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান, সাধারণ সম্পাদক বিজন সেন রায়, সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মালেক হোসেন পীর, যুগ্ম সম্পাদক সালেহিন চৌধুরী শুভ ও সাংগঠনিক সম্পাদক একে কুদরত পাশা সহ একটি প্রতিনিধি দল পাউবো অফিসে যান। পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী সযিবুর রহমান ও সামসুদ্দোহা প্রতিনিধি দলের সাথে মত বিনিময় করেন।
২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত হাওর রক্ষা বাঁধের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে সুনামগঞ্জ পওর বিভাগ-১, পানি উন্নয়ন বোর্ড সুনামগঞ্জ এর নির্বাহী প্রকৌশলী ও সংশোধিত কাবিটা নীতিমালা ২০১৭ অনুযায়াী কাবিটা স্কীম প্রনয়ন ও বাস্তবায়ন সংক্রান্ত জেলা কমিটির সদস্য সচিব সবিবুর রহমান জানান, জেলায় ৭৮৭ টি প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। এর মধ্যে ৭৫৭ টি প্রকল্প কমিটি গঠন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ১৬০ টি প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। ছাতক উপজেলার ১৩ টি ও জগন্নাথপুর উপজেলার ১০ টি প্রকল্প কমিটি এখনও গঠন করা হয়নি। সংশ্লিষ্ট জানিয়েছেন আজ-কালের মধ্যেই কমিটি গঠন হয়ে যাবে।
কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা করে হাওর বাঁচাও আন্দোলন নেতৃতৃন্দ আশঙ্কা প্রকাশ করেন সঠিক সময়ে কাজ শুরু না হওয়ায় সঠিক সময়ে কাজ শেষ হবে না। এ বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই ক্লোজার গুলোর কাজ শেষ করবো।
এখন পর্যন্ত কত শতাংশ কাজ হয়েছে প্রতিনিধি দল জানতে চাইলে তিনি জানান, সে হিসেব এখনও করা হয়নি। সব বাঁধের কাজ শুরু হয়ে গেলে আমরা সাপ্তাহিক অগ্রগতি রিপোর্ট তৈরী করবো। আপনারা চাইলে আমার তা আপনাদের জানিয়ে দেবো।
হাওর রক্ষা বাঁধ নিয়ে এবার আশঙ্কায় আছেন হাওরের কৃষকরা। জানা যায়, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ৩২ টি বাঁধের মধ্যে ২০ টি, বিশ^ম্ভরপুর উপজেলায় ৪১ টির মধ্যে ২৭ টি, ধর্মপাশা উপজেলায় ১৬৯ টির মধ্যে ১৪ টি, তাহিরপুর উপজেলায় ৮২ টির মধ্যে ৪ টি, জামালগঞ্জ উপজেলায় ৪৪ টির মধ্যে ১৬ টি, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলায় ৪৯ টির মধ্যে ২৭ টি, দিরাই উপজেলায় ১২০ টির মধ্যে ১৬ টি, শাল্লা উপজেলার ১৫৬ টির মধ্যে ২১ টি, জগন্নাথপুর উপজেলায় ২৭ টির মধ্যে ৪ টি, দোয়ারাবাজার উপজেলায় ৩৯ টির মধ্যে ৮ টি ও ছাতক উপজেলায় ১৮ টির মধ্যে মাত্র ৩ টিতে কাজ শুরু হয়েছে।
হাওর বাঁচাও আন্দোলন নেতৃবৃন্দ বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে বাঁধের কাজ শুরু করার জন্য আমরা জেলার সকল উপজেলায় মানববন্ধন করেছি। কিন্তু সংশ্লিষ্টরা তাতে কর্ণপাত করছেন না। এ বিষয়ে আমরা দ্রুত নতুন কর্মসূচি ঘোণষা করবো।