কুলাউড়া থেকে সংবাদদাতা :
কুলাউড়ায় উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলাম সবুজের উপর হামলার ঘটনায় প্রধান আসামী কামরুল হাসান বখস ও আরেক আসামী আব্দুল মনাফকে আটক করেছে পুলিশ।
১৯ জানুয়ারি মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টায় কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ বিনয় ভূষন রায় তাদের আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ জানুয়ারি সকাল ১০টার দিকে নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার শিকার হন মইনুল ইসলাম সবুজ। উপজেলা যুবলীগের সদ্য বহিষ্কৃত ১ম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান বখস-এর নেতৃত্বে কয়েকজন এই হামলার সাথে জড়িত উল্লেখ করে একইদিন রাতে কুলাউড়া থানায় মামলা করেন সবুজের বড় ভাই আমিনুল ইসলাম তৈমুছ।
অভিযোগ সূত্র ও স্থানীয়রা জানায়, ১৭ জানুয়ারি সকাল ১০টার দিকে শহরের মাগুরাস্থ বাসা থেকে উছলাপাড়াস্থ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আমিনুল ট্রেডার্সে যান মইনুল ইসলাম সবুজ। এ সময় মোটরসাইকেল যোগে উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুল বখস এর নেতৃত্বে কয়েকজন যুবক সবুজকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে সবুজ নিজের দোকান ছেড়ে ১০ গজ দূরে অন্য একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে আশ্রয় নেন। সেখানে গিয়ে ওই দোকানের শাটার খোলে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয় সবুজকে। হামলাকারীরা এসময় দোকানে ভাংচুর করে নগদ ১৫ লক্ষ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। হামলায় আহত সবুজের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে তারা তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে সবুজকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক তাকে সিলেট ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
এদিকে এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ১৭ জানুয়ারি রাতে কেন্দ্রের নির্দেশে কুলাউড়া উপজেলা যুবলীগের ১ম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান বখস-কে সংগঠন থেকে অব্যাহতি দিয়েছে মৌলভীবাজার জেলা যুবলীগ।
উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে প্রতিবাদ ১৮ জানুয়ারি সোমবার বেলা ১২টার দিকে মিছিল করেছে কুলাউড়া উপজেলা যুবলীগ। এছাড়াও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ঢুকে ব্যবসায়ীর উপর অতর্কিত হামলার প্রতিবাদে ১৮ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ১১টায় উছপালাড়াস্থ আমিনুল ট্রেডার্সের সামনে মানববন্ধন করেছে কুলাউড়া ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি।