কাজিরবাজার ডেস্ক :
তাহিরপুর উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী জাদুকাটা নদী সংলগ্ন পর্যটন এলাকা শিমুল বাগানের পাশেই লাল টিনের ছাউনিতে তৈরি সারি সারি ঘরগুলোকে ঘিরে স্বপ্ন বুনছে গৃহহীন কতগুলো পরিবার।
সরকারি উদ্যোগে ইতোমধ্যে গৃহহীনদের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো এখন দৃশ্যমান। প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহার শীঘ্রই নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করে গৃহহীনদের মধ্যে হস্তান্তর করা হবে। এখন এমনই প্রস্তুতি নিচ্ছে উপজেলা প্রশাসন।
উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের চালিয়ারঘাট মৌজার ১নং খাস খতিয়ানের মানিগাঁও গ্রামের সরকারি জায়গায় আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় নির্মাণাধীন ঘর গুলোর অবস্থান। গত বছরের ১১নভেম্বর ঘর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন,উপজেলা নির্বাহী অফিসার পদ্মাসন সিংহ।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়,দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ত্রাণ মন্ত্রণালয় বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুরের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে সারা দেশের ৮ লাখ ৮২ হাজার ৩৩টি ভূমি ও ঘরহীন পরিবারকে আধপাকা টিনশেড ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করে। প্রথম পর্যায়ে সুনামগঞ্জ জেলায় ৩ হাজার ৯০৮টি পরিবারের জন্য বরাদ্দ পায়।
এর অংশ হিসেবে তাহিরপুর উপজেলার ভুক্তভোগী প্রতিটি পরিবারকে ২ শতাংশ করে খাস জমি বন্দোবস্ত প্রদানপূর্বক “ক” শ্রেণির ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে মোট ৭০টি ঘরের মধ্যে ৩৪টি গৃহ নির্মাণের কাজের শুরু হয়েছে। প্রতিটি ঘরের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে এক লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা। ঘরগুলো ২০ ফুট বাই ২২ ফুট প্রস্তের ২টি কক্ষ, একটি রান্না ঘর ও একটি টয়লেটসহ সামনে খোলা বারান্দা দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদ্মাসন সিংহ জানান, মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের তালিকা করা হয়েছে। এ উপজেলা উত্তর বড়দল ইউনিয়নের মানিগাঁও গ্রামে সরকারি জায়গায় মোট ৭০টি গৃহনির্মাণ করা হবে। এখন ৩৪টি গৃহ ভূমি ও গৃহহীন পরিবার গুলোর মাঝে হস্তান্তর করা হবে। পরবর্তীতে একই জায়গায় আরও ৩৬টি ঘর নির্মাণ করা হবে। আমি সার্বক্ষণিক নজরদারি রেখেছি ঘরগুলা সঠিক ভাবে দ্রুত সময়ের তৈরি করার জন্য।