শাবির ৯৫ শিক্ষার্থী পাচ্ছেন জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশীপ

20

শাবি থেকে সংবাদদাতা :
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের গবেষণা প্রকল্পের আওতায় ২০২০-২১ অর্থবছরে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি (এনএসটি) ফেলোশিপ পাচ্ছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যায়ের ৯৫ শিক্ষার্থী।
গত (১০ জানুয়ারি) বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব খান মো. রেজা-উন-নবী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভৌতবিজ্ঞান, জীব ও চিকিৎসা বিজ্ঞান, খাদ্য ও কৃষি বিজ্ঞান এবং নবায়ন ক্যাটাগরিতে শাবির মোট ৯৫ জন শিক্ষার্থীকে এই ফেলোশিপের জন্য চূড়ান্তভাবে মনোনীত হয়েছেন।
এরমধ্যে ভৌত বিজ্ঞান গ্রুপে এমএস/এমএসসি ক্যাটাগরিতে এ ফেলোশিপের জন্য ৮৩১ জনের মধ্যে ৩৬ জন চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েছেন।
তারা হলেন, রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী হোমায়রা বেগম, মিজানুর রহমান, রায়হানুর ইসলাম, মো. ফাহামিদুল ইসলাম, বিউটি দেব, মোছা. শারমিন আক্তার ইভা, গৌতম দেবনাথ, সামিয়া ইসলাম, অনিম দত্ত, জাহিদুল হক, সোহানা ইসলাম ডানা, মহিবুল আহসান, মো. রাকিবুল হাসান রায়হান, কাবেরী রাণী সরকার, সানজিদা হোসেন, সুপ্রিয় শর্মা মনোনীত হয়েছেন।
একই ক্যাটাগরিতে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী বিজরী তালুকদার, মো. গোলাম মুনতাসির আলম, মাহি আহমেদ, সোহেল খান, সামিউল হোসেন সজল, অনিক আচার্য, পার্থ প্রতীম নাথ, সুহৃদ সাহা প্রান্ত, মাসুদা রহমান শিপ্রা, জিওগ্রাফি এন্ড এনভায়রনমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী তানিয়া সুলতানা, প্রিয়াঙ্কা ঘোষ, মনিসা তাসনিম, অর্ণব মজুমদার, মো. সানোয়ার হোসেন ও মো. নজরুল ইসলাম, পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী রুহুল আমিন ও মো. সাব্বির হোসেন, ফুড ইঞ্জিনিয়ারিংএন্ড টি টেকনোলজি বিভাগের শিক্ষার্থী মো. বেলাল, ফরেস্ট্রি এণ্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগের শিক্ষার্থী নৌশিন রিফাত, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড পলিমার সায়েন্স বিভাগর শিক্ষার্থী মো. রোকনুজ্জামান রানা এই ক্যাটাগরিতে চূড়ান্তভাবে মনোনীত হয়েছেন। তবে এই গ্রুপ থেকে পিএইচডি কিংবা এমফিল গবেষণা ক্যাটাগরিতে কেউ মনোনয়ন পান নি।
জীব ও চিকিৎসা বিজ্ঞান গ্রুপে এমএস/এমএসসি ক্যাটাগরিতে ৭৩১ জনের মধ্যে ৩৬ জন আবেদনের প্রেক্ষিতে মনোনীত হয়েছেন।
তারা হলেন, বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের শিক্ষার্থী সানজিদা আক্তার, পাপিয়া রহমান, ফিরোজ মাহমুদ, রঞ্জন চন্দ্র পাল, মো. নেওয়াজ শরীফ, হুমাইরা রশিদ তুবা, জিতু বর্মণ, মিনা সামিউর রহমান, মো. জাহিদ হাসান, পাপন চন্দ্র পাল, মো. আহসান হাবীব, আরিফুর রহমান, নিশাত তামান্না, শামীমা খানম, জান্নাতুল মাহমুদা, মো. জাকারিয়া মনোনীত হয়েছেন।
একই ক্যাটাগরিতে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের শিক্ষার্থী আনিকা তাসনিম চৌধুরী, মো. তৌফিকুল ইসলাম, আফরোজা আক্তার স্বর্ণা, সানজানা ফাতেমা চৌধুরী, তাসনিমা আলম এশা, নাফিসা নুসরাত চৌধুরী, শ্রাবণী আক্তার ইভা, মো. তাহসিন খান, দিদারুল হায়দার সানী, নাবিল দেবনাখ, মো. ইবরাহীম, সালমান আহমেদ, রাহাতুল ইসলাম, আরাফ মাহমুদ, মুমতাহিন আহমেদ, সাহারা খাতুন, মো. মশিউর রহমান, সৃজন ঘোষ, ফরেস্ট্রি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগের শিক্ষার্থী তাহাসিনা চৌধুরী ও মো. মাহবুব হাসান মনোনীত হয়েছেন। তবে এই গ্রুপে শাবি থেকে পিএইচডি কিংবা এমফিল গবেষণা ক্যাটাগরিতে কেউ মনোনয়ন পান নি।
খাদ্য ও কৃষি বিজ্ঞান গ্রুপে এমএস/এমএসসি ক্যাটাগরিতে ১ হাজার ৬৫৫ জনের মধ্যে ২২ জন মনোনীত হয়েছেন।
তারা হলেন, ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগের শিক্ষার্থী অঙ্গনা কুরি, ফাহমিদা নিজাম, সুলতান মাহমুদ, এইচ এ এম ফাহিম, দিপালী রাণী দাস, আয়েশা, আরিফুল খান, সাদিয়া হোসেন ইরা, মো. হাইয়ুল মুমতাহিন, সুমিত চৌধুরী, উম্মে হানি হক, মেহেদী হাসান লিমন, মো, হালিমুর রশিদ, তাসনিমা মুকিত, মোহাম্মদ রমজান আলী, সোহাগ আহম্মেদ, রণি সরকার, মো. শাহরিয়ার আলম মনোনীত হয়েছেন।
এছাড়া একই ক্যাটাগরিতে বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের শিক্ষার্থী মো, সিফাতুল ইসলাম, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের শিক্ষার্থী মো. কামরুল ইসলাম, ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টি টেকনোলজি বিভাগের শিক্ষার্থী কেয়া রানী রায় ও শুভ্র তালুকদার মনোনীত হয়েছেন। এই গ্রুপেও পিএইচডি কিংবা এমফিল গবেষণা ক্যাটাগরিতে কেউ মনোনয়ন পান নি।
পিএইচডি ও এমফিল গবেষণার নবায়ন ক্যাটাগরিতে ৫৬ জনের মধ্যে মাত্র ১ জন মনোনীত হয়েছেন। ফিজিক্যাল সায়েন্সে পিএইচডি ক্যাটাগরিতে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী বকুল কুমার চক্রবর্তী ২য় বছরে ফেলোশীপের নবায়ন পেয়েছেন। তবে কৃষি ও খাদ্য বিজ্ঞান এবং জীব ও চিকিৎসা বিজ্ঞানে পিএইচডি ও এমফিল ক্যাটাগরিতে কেউ নতুন করে মনোনীত হন নি।
এদিকে ফেলোশিপে এমএসসি ক্যাটাগরিতে প্রত্যেকে ৫৪ হাজার টাকা, এমফিল ক্যাটাগরিতে ৯৯ হাজার টাকা ও পিএইচডি ক্যাটাগরিতে ৩ লক্ষ টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে বলে মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট সূত্রে জানা যায়।
উল্লেখ্য, ১৯৭৭-৭৮ অর্থবছর থেকে গবেষণা কার্যক্রমকে আরো এগিয়ে নিতে ক্যাটাগরি-১ (ভৌত বিজ্ঞান), ক্যাটাগরি-২ (জীব ও চিকিৎসাবিজ্ঞান), ক্যাটাগরি-৩ তে (খাদ্য ও কৃষি বজ্ঞান) এই ফেলোশিপ প্রদান করা হয়। তিন ক্যাটাগরির নির্ধারিত কমিটি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণা প্রতিষ্ঠানে অধ্যায়নরত ও গবেষণারত এমএস, এমফিল, পিএইচডি, পোস্ট-ডক্টোরাল শিক্ষার্থী ও গবেষকদের আবেদন গ্রহণ, যাচাই-বাছাই ও সাক্ষাতকার গ্রহণের মাধ্যমে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এই ফেলোশিপ প্রদান করে থাকে।