ওসমানীনগর থেকে সংবাদদাতা :
নতুন বছরের শুরুতেই ওসমানীনগরে বৃদ্ধি পেয়েছে সড়ক দুর্ঘটনা। গত এক সাপ্তাহে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের ওসমানীনগর উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ ৩জন নিহত হয়েছেন। সড়কে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও মনিটরিং এর অভাব, চালকদের মধ্যে প্রতিযোগিতা ও বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর প্রবণতা, পথচারীদের মধ্যে সচেতনতার অভাব, ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করে ওভারটেকিং করা, সড়ক-মহাসড়কের মোটরসাইকেলেও তিন চাকার গাড়ি বৃদ্ধিকেই দ্বায়ী করছেন সচেতন মহল।
জানা গেছে, গতবছরের শেষ দিনে ও চলতি বছরের শুরুর প্রথম সপ্তাহে ওসমানীনগরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন এক শিশু এক ব্যবসায়ীসহ ও একজন নাইট গার্ড।
৩১ ডিসেম্বর রাতে ব্যাটারি চালিত টমটমের চাপায় এক নৈশ প্রহরী (নাইট গার্ড) নিহত হয়েছে। সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের গোয়ালাবাজার নছিব উল্যা মার্কেটের সামনে একটি ব্যাটারি চালিত টমটম চাপা দিলে নৈশ প্রহরী রহতম আলী (৬৫) গুরুতর আহত হলে তাকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রহমত আলীকে মৃত ঘোষণা করেন।
২ জানুয়ারী সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের উপজেলার তালেরতল নামক স্থানে একটি মাইক্রোবাসের (ঢাকা মোট্রো-চ-১১৭২৩৬) চাপায় মনোজ কুমার দেব(৩৫) নামের এক ব্যবসায়ী নিহত হন। নিহত মনোজ উপজেলার গোয়ালাবাজার ইউপির ইলাশপুর গ্রামের মনোরঞ্জন দেব খোকার ছেলে ও তাজপুর বাজারের চাল ব্যবসায়ী ছিলেন।
৪ জানুয়ারী অজ্ঞাতনামা ট্রাক চাপায় তোফায়েল মিয়া (৯) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়। উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কাশিকাপন এলাকায় রাস্তাপারের সময় তোফায়েল মিয়াকে সিলেটগামী একটি অজ্ঞাতনামা ট্রাক চাপা দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই শিশু তোফায়েলের মৃত্যু হয়। সে বিশ্বনাথের পুরান সৎপুর গ্রামের আসর উদ্দিনের ছেলে। তোফায়েলের পরিবার দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার কাশিকাপনস্থ মানিক মিয়ার কলোনীতে বসবাস করে আসছে।