বাংলাদেশে টিকা রপ্তানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞা নেই

6

কাজিরবাজার ডেস্ক :
অবশেষে বিদেশে টিকা রপ্তানির বিষয়ে অবস্থান পরিষ্কার করলো ভারতের টিকা উৎপাদনকারী দুই প্রতিষ্ঠান সেরাম ইনস্টিটিউট ও ভারত বায়োটেক। সব দেশে করোনাভাইরাসের টিকা রপ্তানির অনুমতি রয়েছে বলে মঙ্গলবার এক যৌথ বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে।
সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকার ও বাংলাদেশের শীর্ষ ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকোর ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয়েছে। সেরাম থেকে টিকা এনে বাংলাদেশ সরকারের হাতে তুলে দেবে বেক্সিমকো। চুক্তি অনুযায়ী সেরাম ইনস্টিটিউট তিন কোটি ডোজ টিকা দেবে।
সেরাম ইনস্টিটিউটের প্রধান আদর পুনাওয়ালা এবং ভারত বায়োটেকের ডাক্তার কৃষ্ণ ইলা বলেন, তাদের সামনে এখন সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো ভারত এবং বিশ্বের জীবন জীবিকা রক্ষা করা। ভ্যাকসিন জনস্বাস্থ্য উপাদান উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, ভ্যাকসিনের জীবন রক্ষা করার ক্ষমতা এবং দ্রুত অর্থনীতিকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরানোর ক্ষমতা আছে।
প্রসঙ্গত, ভারতের টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সেরাম ইনস্টিটিউট অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা ভারতে কোভিশিল্ড নামে উৎপাদন করছে।
এর আগে ভারতের টিকার চাহিদা মেটানোর আগে অন্য দেশকে বাণিজ্যিকভাবে টিকা না দেয়ার বিষয়ে পুনাওয়ালার কিছু বক্তব্য ঘিরে বিভ্রান্ত ও অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়।
যদিও গতকাল ভারতের টিকা রপ্তানির নিষেধাজ্ঞার খবরের বিষয়ে সেরাম ইনস্টিটিউটের জনসংযোগ কর্মকর্তা মায়াঙ্ক সেন টিকা রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞার যে খবর প্রকাশিত হয়েছে, তা পুরোপুরি সঠিক নয় বলে বিবিসিকে জানিয়েছিলেন।
এদিকে বেক্সিমকোর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর অক্সফোর্ডের টিকা বাংলাদেশে আমদানি ও জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে।
ভ্যাকসিনের ‘এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটর’ বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রক সংস্থা কোভিশিল্ড ব্যবহারের অনুমোদন দেয়ার এক মাসের মধ্যে ৫০ লাখ ডোজ টিকার প্রথম চালান পাঠানোর কথা সেরাম ইনস্টিটিউটের।
এদিকে মঙ্গলবার স্বাস্থ্য সচিব আবদুল মান্নান বলেছেন, বাংলাদেশ এবং ভারত সরকারের শীর্ষ পর্যায় করোনার ভ্যাকসিনের বিষয়ে অবগত আছে। ‘আশা করি ভ্যাকসিন পেতে দেরি হবে না।
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকের পর সাংবাদিকদের কাছে প্রতিক্রিয়ায় এ কথা বলেন তিনি।