কাজিরবাজার ডেস্ক :
সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বেগম ফজিলাতুন নেসা বাপ্পি (৪৯) বৃহস্পতিবার সকাল আটটায় বিএসএমএমইউ হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি … রাজিউন)। তিনি মা ও স্বামীসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন, গুণগ্রাহী, সহকর্মী ও শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য এডভোকেট ফজিলাতুন নেসা বাপ্পির কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তিনি এই শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। প্রধানমন্ত্রী এ সময় তার কফিনের পাশে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। পরে আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে সঙ্গে নিয়ে দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা দলের পক্ষ থেকে সাবেক এই সংসদ সদস্যের কফিনে আরেকটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। প্রধানমন্ত্রী এরপর মরহুমার পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দেন ও তাদের প্রতি সমবেদনা জানান। তিনি বাপ্পির রুহের মাগফিরাত কামনা করেন।
এর আগে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদের পক্ষ থেকে তার সামরিক সচিব এ্যাডভোকেট বাপ্পির কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও ডেপুটি স্পীকার ফজলে রাব্বি মিয়া মরহুমার কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। সংসদের বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম রওশন এরশাদের পক্ষ থেকে জাতীয় পার্টির আইনজীবী ফখরুল ইমাম বাপ্পির কফিনে শ্রদ্ধা জানান। বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় এডভোকেট বাপ্পির জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। মন্ত্রীবর্গ, ডেপুটি স্পীকার, পার্লামেন্ট সদস্যবৃন্দ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ জানাযায় অংশগ্রহণ করেন। এ সময় মরহুমার রুহের মাগফিরাত করে মোনাজাত ও দোয়া করা হয়।
ফজিলাতুন নেসা বাপ্পী নবম ও দশম জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৭০ সালের ৩১ ডিসেম্বর নড়াইলে জন্মগ্রহণ করেন। পেশায় আইনজীবী ফজিলাতুন নেসা বাপ্পি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন। তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালেও প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।