কাজিরবাজার ডেস্ক :
সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে চলন্ত বাসে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার হেলপার রশিদ আহমদ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছে। সে ওই সময় কি কি ঘটেছিলো তা জানিয়েছে আদালতকে।
মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাগীব নূরের আদালতে হাজির করা হলে সে ঘটনায় নিজের সম্পৃক্তার কথা স্বীকার করে সে। পরে আদালত হেলপার রশিদ আহমদকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
সুনামগঞ্জের কোর্ট পরিদর্শক আবুল হাশেম বলেন, আসামিকে আদালতে তুলা হলে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে এবং আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় বাসে ধর্ষণ চেষ্টা মামলার আসামি বাস চালকের সহকারী রশিদ আহমদকে গত সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) ভোরে সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ এলাকার বুরাইয়ারগাঁও থেকে বাসের হেলপারকে গ্রেপ্তার করে পিআইবি। তাকে গ্রেফতারে সহযোগিতা করে সুনামগঞ্জ জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি।
গত শনিবার বিকেলে সিলেট থেকে দিরাইর উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা সিলেট (জ-১১০৭২৩) একটি যাত্রীবাহী বাসে আত্মীয়ের বাড়ি সিলেটের লামাকাজি থেকে নিজ বাড়ি দিরাইয়ে আসার জন্য বাসে ওঠেন ওই শিক্ষার্থী। বাসটি সন্ধ্যায় দিরাই পৌরসভার সুজানগর গ্রামের পাশে আসলে ওই মেয়ে ছাড়া গাড়িতে আর কোনো যাত্রী না থাকায় বাসের চালক ও হেলপার মিলে ধর্ষণের চেষ্টা করে।
ওই তরুণী ইজ্জত রক্ষা করতে লাফ দিয়ে সড়কে পড়ে আহত হয়। আহত অবস্থায় গ্রামবাসী তাকে উদ্ধার করে দিরাই হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
এ ঘটনায় তরুণীর বাবা বাদী হয়ে গত ঐ দিন রাতে দিরাই থানায় ৩ জনকে আসামী করে ধর্ষণ চেষ্টা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকে বাসের চালক হেলপার পলাতক ছিল।