দেশে লাগামহীনভাবে সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় ভোক্তারা চরম বিপাকে পড়েছেন। ফলে সাধারণ ক্রেতাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে প্রতিদিনের ভোজ্যপণ্য সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে বৃদ্ধি হওয়ায় ক্রেতারা পড়েছেন ভোগান্তিতে।
অনেকের মতে দেশে যে অনুপাতে সয়াবিন তেল উৎপাদন হয়, তার চেয়ে বেশী সয়াবিন তেল বিদেশ থেকে আমদানী করা হলেও ক্রেতাদের অভাব দূর হওয়ার কথা থাকলে ও আমদানিকৃত এত সয়াবিন যায় কোথায়? হয়ত ডিলাররা কোনো অসাধু কুচক্রি ব্যবসায়ীদের সাথে নিয়ে সয়াবিন তেল নিয়ে কারসাজি করছে। যা সাধারন মানুষের ভোগান্তি শিকার হতে হচ্ছে, তা নিয়ে কারসাজি বন্ধে সরকারের আইন শৃংখলা বাহিনীর উচিত এসব চক্রান্তকারীর মুখোশ খুলে দেয়া। এ ক্রান্তিলগ্নে ভোজ্যপণ্য সয়াবিনের দাম বেড়ে যাওয়া সাধারণ মানুষের কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
এক ধরনের অসাধু ব্যবসায়ী চক্র ভাল সয়াবিন তেলের মধ্যে পাম অয়েল মিশিয়ে সয়াবিন তেল বলে বিক্রি করলে ও শীত মৌসুমে আসল সয়াবিন তেলের সাথে পাম অয়েল মিশ্রিত করে অবাধে সয়াবিন তেল বিক্রি করলে ও শীতকালে পাম অয়েল বসে যায়। তাই অসাধু ব্যবসায়ীরা সয়াবিন তেলের সাথে পাম অয়েল মেশাতে পারে না বলে সয়াবিন তেলের দাম বাড়িয়ে ক্রেতাদেরকে অবাদে ঠকাচ্ছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বিভাগের কোনো পদক্ষেপ নেই বলে চলে।
বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখার দায়িত্বে সংস্থা সম্পূর্ণ নীরব ভূমিকায় থাকায় জনমনে নানা ধরনের প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। ১৯১৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর সয়াবিনের হঠাৎ দাম বাড়িয়ে দেয়া হয়, যার ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের ২৪ ডিসেম্বর তেমনি ভাবে ডিসেম্বর মাসে সয়াবিন তেলের সাথে পাম ওয়েল মিশিয়ে প্রতারণা করতে না পেরে কোনো প্রকার ঘোষণা ছাড়াই দ্বিগুণ অধিক মুনাফা লাভের লক্ষ্যে দাম বাড়িয়ে ক্রেতা সাধারণের কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
প্রতি শীত মৌসুমে প্রতিটি পরিবারে ভোজ্য তেলের ব্যবহার বেশী হয়ে থাকে, এ মৌসুমে তেলের ব্যবহার ও বেশী থাকায় এ চাহিদাকে পুঁজি করে প্রতারক অসাধু ব্যবসায়ী চক্র ফায়দা হাসিল করে নিচ্ছে। শীত মৌসুম এলেই সয়াবিন তেলের দাম বাড়ে, জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না থাকায় এ প্রতারক চক্রের পরিধি শুধু বৃদ্ধিই পাচ্ছে। এ ব্যপারে সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া অতি জরুরী বলে সচেতন মহল মনে করেন।