বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের সিলেট জেলা শাখার আহবায়ক মোখলেছুর রহমান এক বিবৃতিতে বলেন, আগামী ১ জানুয়ারি ২০২১ সাল থেকে সিলেট নগরীর প্রাণকেন্দ্র ও ব্যস্ততম সড়ক কোর্ট পয়েন্ট, জিন্দাবাজার, চৌহাট্টা সড়কে বন্ধ করা হচ্ছে রিক্সা, ঠেলা, ভ্যান গাড়ি চলাচল। ইতিমধ্যে সিলেট সিটি কর্পোরেশন এ সিদ্ধান্ত জানিয়ে মাইকিং করেছে। সিটি কর্পোরেশন এ সড়ককে লন্ডনের আদলে গড়ে তুলছে বলে যুক্তি হাজির করছে। সৌন্দর্য বর্ধনের আয়োজনও চলছে জোরেশোরে। এর পূর্বে একই যুক্তিতে হকারদের উচ্ছেদ করেছে। বর্তমানে লোকদেখানো পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ সকল সৌন্দর্য বর্ধনের বলি হচ্ছে সাধারণ শ্রমিকরা। নগরীতে রিকশায় চলাচল করে সাধারণ মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত মানুষেরা, তাদের চলাচলের একমাত্র বাহন রিক্সা। তারা নগরীর ভোটারও। নগরীতে অনেক ব্যক্তিগত প্রাইভেট কার, মাইক্রো, জীপ গাড়ি চলাচল করে এ ব্যাপারে কোন নীতিমালা নেই। নেই কোন পার্কিং জোন। এসব গাড়ি মালিকরা কর্পোরেশনের রাস্তাকে পার্কিং এরিয়া হিসেবে ব্যাবহার করে। যত্রতত্র পার্কিং এর কারণে যানজট সৃষ্টি হয়, অপরিকল্পিত নগরায়ন এর জন্য দায়ী। অথচ এ ব্যাপারে মেয়র নীরব। গ্রাম থেকে সবকিছু হারিয়ে জীবিকার প্রয়োজনে গরীব মানুষেরা সবচেয়ে কষ্টকর কাজ অনেক অবহেলা ও বিবেকহীন আচরণের মধ্যেও রিকশা চালিয়ে, হকার হিসেবে ব্যবসা করে পরিবার পরিজন নিয়ে বাঁচার সংগ্রাম করছে। এ সিদ্ধান্ত তাঁদের বেঁচে থাকার অধিকারকে কেড়ে নেয়ার সামিল। সামাজিক বৈষম্যের কারণে গরীব মানুষের এ গ্রোত চাইলেও বন্ধ করা যাবে না। কোর্ট পয়েন্ট থেকে চৌহাট্টা পর্যন্ত রিক্সা চলাচলের জন্য প্রয়োজনে বিকল্প লেনের ব্যবস্থা করুন। হঠাৎ কোন আলোচনা পর্যালোচনা ছাড়া ইচ্ছামাফিক, এ সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক ও শ্রমিক স্বার্থ বিরোধী। বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন এর পক্ষ থেকে এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি, অবিলম্বে এ সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানাচ্ছি, সকল বিবেকবান মানুষের প্রতি এ ব্যপারে সোচ্চার হওয়ার আহবান জানাই এবং সকল রিক্সা শ্রমিকদের সংগঠিত আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানাই। বিজ্ঞপ্তি