স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেট নগরীর ফুটপাত ও মূল রাস্তা দখল করে দোকান বসানো ভ্রাম্যমান হকারদের লালদীঘিরপারে খালি স্থানে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু করেছে সিলেট সিটি করপোরেশন। গত বুধবার থেকে সিলেট মহানগর পুলিশের সহায়তায় নগর ভবনের পেছনের (লালদীঘির পারস্থ) খালি মাঠে অস্থায়ীভাবে এই হকাদের নিয়ে যাওয়ার কাজ করে সিসিক।
জানা গেছে, বুধবার নগর ভবনের পেছনের মাঠে বাঁশের খুঁটি গেড়ে তাতে সুতা বেঁধে দোকানের লাইন এবং সীমানা টানা হয় এবং মাইকে ডেকে ডেকে লটারির মাধ্যমে হকারদের নাম তালিকাভুক্ত করা হয়। সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) ফয়সল মাহমুদের তত্ত্বাবধানে চলে কার্যক্রম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান এসেসর চন্দন দাশ এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ। এদিকে, গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে বাঁশ বেঁধে দোকান তৈরির কাজও চলছে পুরোদমে। গতকাল কাজের তত্ত্বাবধানে ছিলেন সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) ফয়সল মাহমুদ। তিনি বলেন, এখনই বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না। আমরা গোপনীয়ভাবে একটি তালিকা করেছি। তাদের লটারির মাধ্যমে দোকান বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। কে কতটুকু জায়গা পেয়েছেন, মোট কতজন পেয়েছেন, তা কাজ শেষে বলা যাবে।
নগরীর সবচেয়ে ব্যস্ততম বন্দরবাজার-জিন্দাবাজার-চৌহাট্টা সড়ক ও ফুটপাত সম্প্রতি সম্প্রসারণ ও সংস্কার করেছে সিটি করপোরেশন। তবে সংস্কার কাজ শেষ হওয়ার আগে এই সড়কের বেশিরভাগ অংশ ও ফুটপাত দখলে নিয়ে নিয়েছে হকাররা। ফলে মানুষ জন রাস্তা চলাচল করতে ভোগান্তিতে পড়েন। এছাড়াও পুরো বন্দরবাজারের সকল সড়কই হকারদের দখলে। সিটি কর্তৃপক্ষ হকার উচ্ছেদে নামলেই হকাররা আন্দোলন শুরু করেন। তাই হকারদের দাবির প্রেক্ষিতে নগরীর প্রাণকেন্দ্রের সড়ককে হকারমুক্ত করতে বিশেষ উদ্যোগে নিয়েছেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও এসএমপি কর্তৃপক্ষ। নগর ভবনের পেছনের খালি মাঠে এক হাজারের অধিক হকারকে পুনর্বাসনের জন্য বুধবার থেকে জায়গা ভাগ করা শুরু হয়েছে। কাজটি শেষ করতে কয়েকদিন লাগবে বলে সূত্রে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে সিলেটে সিটি কপোরেশনের চীফ ইঞ্জিনিয়ার নূর আজিজুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, হকারদের যে জায়গায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সে খালি জায়গায় ভবনের প্ল্যানিং চলছে। আপাতত: নগরীর সৌন্দর্য্য ও যানজটমুক্ত রাখতে তাদেরকে অস্থায়ীভাবে ওই স্থানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।