স্পোর্টস ডেস্ক :
আড়াইশো দিনেরও বেশি সময় পর ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের গ্যালারিতে দর্শক ফিরেছে। তবে ফুল-হাউস নয়, শনিবার থেকে সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং মেনে ২ হাজার করে দর্শক বসতে পারছেন গ্যালারিতে। দীর্ঘদিন পর দর্শক সমাগমে নর্থ-লন্ডন ডার্বি ঘিরে স্বভাবতই পারদ চড়ছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের নিরিখে ঘরের মাঠে ডার্বি ম্যাচে এগিয়ে থেকেই শুরু করেছিল টটেনহ্যাম হটস্পার। ম্যাচেও প্রতিফলিত হল তা। সন হিউং মিন এবং হ্যারি কেনের প্রথমার্ধের গোলে ২-০ গোলে ডার্বি জিতল স্পারস।
১৩ মিনিটের সন হিউং’য়ের দৃষ্টিনন্দন এদিন গোলে ম্যাচে লিড নেয় জোসে মোরিনহোর দল। প্রতি-আক্রমণ থেকে হ্যারি কেনের বাড়ানো বল ধরে বিপক্ষ গোলরক্ষকের অবস্থান দেখে নেন সন। এরপর কাট করে বক্সের বাইরে থেকে দূরপাল্লার কার্লিং শটে দলকে এগিয়ে দেন কোরিয়ান স্ট্রাইকার। বিরতির ঠিক আগে ব্যবধান ২-০ করেন হ্যারি কেন। এক্ষেত্রে ইংলিশ স্ট্রাইকারকে অ্যাসিস্ট করেন সন। চোট পেয়ে আর্সেনালের এক ফুটবলার শুশ্রূষার জন্য মাঠ ছাড়লে ফের প্রতি-আক্রমণে কার্যসিদ্ধি করে যায় স্পারস।
জিওভানি লো সেলসোর বল ধরে বক্সের মধ্যে কেনের জন্য তা সাজিয়ে দেন সন। সাজানো বলে কেনের বাঁ-পায়ের জোরালো ভলি ক্রসবারের নীচের অংশে লেগে ঢুকে যায় গোলে। ০-২ গোলে পিছিয়ে পড়ে দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে দাপট দেখায় গানার্সরা। কিন্তু স্পারস গোলরক্ষক হুগো লরিসের বিশ্বস্ত দস্তানায় আটকে যায় আর্তেতার দলের সমস্ত আক্রমণ। ৪৭ মিনিটে বুকায়ো সাকার ফ্রি-কিক থেকে এবং ৬৮ মিনিটে বেলেরিনের ক্রস থেকে ল্যাকাজেত্তের দু’টি হেড দস্তানাবন্দি করেন স্পারসের ফরাসি গোলরক্ষক।
একটি ক্ষেত্রে এমেরিক আউবামেয়াং’য়ের হেড অল্পের জন্য বার উঁচিয়ে মাঠের বাইরে চলে যায়। সবমিলিয়ে দ্বিতীয়ার্ধে আধিপত্য নিয়ে খেলে এবং ৭০ শতাংশ বল নিজেদের দখলে রেখেও গোলের খাতা খুলতে ব্যর্থ হয় আর্সেনাল। অন্যদিকে দ্বিতীয়ার্ধে আর গোল তুলে নিতে পারেনি টটেনহ্যামও। অর্থাৎ, প্রথমার্ধের জোড়া গোলই নির্ণায়ক হয়ে দাঁড়ায় ম্যাচে। ডার্বি জয়ের পর ১১ ম্যাচে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলে শীর্ষে চলে গেল টটেনহ্যাম। লিভারপুলকে উলভসকে হারিয়ে পয়েন্টের নিরিখে সমান হলেও টপকে যেতে পারবে না স্পারসকে।
