দেশে দ্বিতীয় বারের মত মহামারি করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্য বিধি বাস্তবায়নে সরকার কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন। যেভাবে হউক করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে। এ নির্দেশনা প্রয়োগে স্থানীয় প্রশাসন বিভিন্ন স্থানে সক্রিয় ভাবে কার্যক্রম শুরু করেছে।
দেশে শীত মৌসুম শুরু হতে না হতেই করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েছে, আক্রান্তের সংখ্যা যেমন বাড়ছে, তেমনি মৃত্যুর সংখ্যা ও থেমে থাকেনি। দিন-দিন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এ মহামারি প্রতিরোধে সরকার কর্তৃক সর্বত্র কার্যকারী পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, স্বাস্থ্য বিধি অমান্যকারীর প্রতি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে যেন কার্পণ্য না হয়। প্রয়োজনে জেল বা অর্থদন্ড করার পদক্ষেপ নেয়া হউক।
ইতিমধ্যে সর্বত্র মাস্ক ব্যবহারে বাধ্যতামূলক নির্দেশনা থাকলেও যারা এ বিধি অমান্য করছে তাদের বিরুদ্ধে অনেক জেলা, উপজেলা শহরে জেল বা অর্থ দন্ডে দন্ডিত করা হচ্ছে। ঘর থেকে বেরুলেই মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। কিন্তু সাধারণ মানুষ নানা অজুহাত দেখিয়ে স্বাস্থ্য বিধি অমান্য করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
শহর ও শহরতলিতে অহরহ দেখা যায়, অনেকে মাস্ক পকেটে রেখে চলাফেরা করছে, কেউ-কেউ মাস্ক ব্যবহারের কথা ভুলে যায় বা মাস্ক ব্যবহারে কথা বলতে কষ্ট হয় বলে অজুহাত দেখায়। এসব অজুহাতকে উপেক্ষা করে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করার কোনো বিকল্প নেই বলে সচেতন মহল মনে করেন।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা; দেশে দ্বিতীয় বারের মত করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে হাট-বাজার, সকল ধরনের যানবাহনসহ সর্বক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে বলবৎ করতে প্রশাসনিক তৎপরতা জোরদার করতে হবে। করোনা ভাইরাসের টিকা আমদানী করা জরুরী হয়ে পড়েছে। করোনা ভাইরাসের টিকা আমদানী করত; সহজ মূল্যে সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রয়োগ করার জন্যে সংশ্লিষ্ট বিভাগের পদক্ষেপ নেয়া উত্তম হবে।