গ্যাস বিদ্যুৎ গ্রাহক কল্যাণ পরিষদের কেন্দ্রীয় আহবায়ক প্রবীণ আইনজীবী নাছির উদ্দীন, যুগ্ম আহবায়ক ইকবাল হোসেন চৌধুরী ও সদস্য সচিব জননেতা মকসুদ হোসেন এক বিবৃতিতে বলেন, গত ১৭ নভেম্বর বেলা পৌণে ১১টায় সিলেট কুমারগাঁও বিদ্যুৎ উপ-কেন্দ্রে ব্যাপক অগ্নিকান্ডের ঘটনায় সিলেট ও সুনামগঞ্জের ৪ লক্ষ ৩২ হাজার গ্রাহক হা হা কার ও ভুতুড়ে সিলেট নগরী হওয়ায় গভীর উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছেন। নেতৃবৃন্দ বলেন, এই চলতি বছরে দেশের ৪টি জেলায় ৫ দফায় বিদ্যুৎ উপ-কেন্দ্রে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটলো।
গত ৮ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহের কেওয়াটখালিতে পিজিসিবির উপকেন্দ্রে ট্রান্সফরমার আগুণ ধরে পুড়ে যায়। এতে ময়মনসিংহের ৪ জেলার মানুষকে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ ও দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎবিহীন থাকতে হয়।
গণমাধ্যমে প্রকাশ, জ¦ালানি বিশেষজ্ঞদের মতে নিম্নমানের যন্ত্রপাতি ব্যবহার, সীমাহীন দুর্নীতি, সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে অগ্নিকান্ডের মত ঘটনা ঘটছে। বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে আগুন লাগার কথা নয়। নিম্নমানের যন্ত্রপাতি সরবরাহ বন্ধে কোন শক্ত নজরদারি নেই। সিলেটের কুমারগাঁও সহ বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে অগ্নিকান্ডের ঘটনার পিছনে কোন নাশকতা আছে কি-না, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।
নেতৃবৃন্দ এই অগ্নিকান্ডের ঘটনায় তদন্ত কমিটির রিপোর্ট যথাশীঘ্রই গণমাধ্যমে প্রকাশে সরকারের নিকট জোর দাবী জানিয়ে আরো বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগে ঘাপটি মেরে থাকা আলীবাবা চল্লিশচোর ও বাগদাদের চোরদের শনাক্ত করে স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার জোর দাবী জানান। অন্যথায় মনে রাখবেন, অন্ধ হলেই প্রলয় বন্ধ হয় না। বিজ্ঞপ্তি