মানের জোড়া গোলে চেলসিকে হারাল লিভারপুল

8

স্পোর্টস ডেস্ক :
দলবদলের বাজারে চেলসির অজস্র অর্থ খরচ নিয়ে জুর্গেন ক্লপের কটাক্ষ। আলাকান্তারাকে চূড়ান্ত করার পর ক্লপকে পালটা সেই কটাক্ষ ছুঁড়ে দেওয়া। লড়াইটা এতোদিন মাঠের বাইরে থাকলেও রবিবাসরীয় স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে ছিল একে অপরকে জবাব দেওয়ার পালা। দলবদলের বাজারে সাড়া জাগিয়ে চেলসি ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের কতোটা লড়াই ছুঁড়ে দিতে পারে সেদিকেই তাকিয়ে ছিলেন ফুটবল অনুরাগীরা।
ঘরের মাঠে রেডস’দের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পেরে উঠল না ব্লুজ’রা। দ্বিতীয়ার্ধে সাদিও মানের জোড়া গোলে চেলসিকে হারাল লিভারপুল। কাই হ্যাভার্টজ-টিমো ওয়ের্নারকে আপফ্রন্টে রেখেই এদিন একাদশ সাজিয়েছিলেন চেলসি কোচ ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ড। ম্যাচের ১৩ মিনিটে গোল ছেড়ে বেরিয়ে এসে বিপদ ডেকে এনেছিলেন চেলসি গোলরক্ষক কেপা আরিজাবালাগা। প্রতিহত হওয়া একটি বল কর্নার হওয়া থেকে বাঁচাতে গিয়ে গোল ছেড়ে বেরিয়ে আসেন তিনি। কিন্তু গতিতে তাঁকে পরাস্ত করে বলের দখল নিয়ে নেন লিভারপুল স্ট্রাইকার মোহামেদ সালাহ।
এরপর ফিরমিনোর উদ্দেশ্যে সালাহর বাড়ানো বল কোনক্রমে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন ক্রিস্টেনসেন। অন্যদিকে ফ্যাবিনহোর কাছে কার্যত বোতলবন্দি হয়ে থাকা টিমো ওয়ের্নার প্রথমার্ধে একটি ক্ষেত্রে জ্বলে উঠলেও তাঁর প্রচেষ্টা অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। প্রথমার্ধের শেষদিকে লম্বা থ্রু বল ধরে বিপক্ষ গোলমুখে আগুয়ান মানেকে অবৈধ উপায়ে বাধা দিয়ে বসেন ক্রিস্টেনসেন। প্রাথমিকভাবে রেফারি তাঁকে হলুদ কার্ড দেখালেও ভিএআরের সাহায্যে তার অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনা করে পুনরায় তাঁকে লাল কার্ড দেখানো হয়।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই চেলসির ১০ জনে হয়ে যাওয়ার সুযোগ নিতে থাকে লিভারপুল। গোল তুলে নিতেও বিশেষ সময় নেয়নি তারা। ৫০ মিনিটে বক্সের ঠিক বাইরে সালাহর সঙ্গে ওয়াল খেলে মানের জন্য ঠিকানা লেখা ক্রস রাখেন ফিরমিনো। নিখুঁত হেডারে ব্রাজিলিয়ানের ক্রস তেকাঠিতে রেখে দলকে এগিয়ে দেন সেনেগালের ফুটবলার। চার মিনিট বাদে মানের দ্বিতীয় গোলটি পুরোপুরি চেলসি গোলরক্ষকের পায়ে করে তুলে দেওয়া উপহারের মতো।
জর্জিনহোকে পাস দিতে গিয়ে বল মানের পায়ে তুলে দেন কেপা। বলা ভালো চেলসি গোলরক্ষকের অসচেতনতার সুযোগ নিয়ে বলের উপর নজর রেখে তা ছোঁ মেরে ছিনিয়ে নেন মানে। এরপর ফাঁকা গোলে বল রাখতে কোনও ভুল হয়নি তাঁর। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ক্লপ এদিন জর্ডান হেন্ডারসনের বদলি হিসেবে মাঠে নামিয়েছিলেন বায়ার্ন থেকে নবাগত থিয়াগো আলাকান্তারাকে। ৭৩ মিনিটে টিমো ওয়ের্নারকে বক্সে ফাউল করে চেলসিকে প্রথম ম্যাচে একটি পেনাল্টি উপহার দেন এই স্প্যানিয়ার্ড।
যদিও জর্জিনহোর দুর্বল শট এযাত্রায় রক্ষা করে দেন বেকার। সংযুক্তি সময়ে মানের বাঁ-পায়ের একটি দূরপাল্লার শট কেপা দুরন্ত সেভ না করলে হ্যাটট্রিক পেয়ে যেতে পারতেন মানে। শেষ অবধি সেটা না হলেও মানের জোড়া গোলেই তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে লিভারপুল।