তাহিরপুরে পল্লী বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার চুরি, উৎকণ্ঠায় গ্রাহক

47

বাবরুল হাসান বাবলু তাহিরপুর থেকে :
তাহিরপুরে হঠাৎ করে বেড়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ট্রান্সফরমার চুরি। গত ৩ দিনের ব্যাবধানে ২ গ্রামে ৩টি ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা ঘটে। চুরি ঠেকাতে ট্রান্সফরমার দেখে শুনে রাখার জন্য গ্রাহকদের উদ্দেশ্যে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মাইকিং করে। এ অবস্থায় চুরি যাওয়া ট্রান্সফরমারের ব্যায় ভার মেটাতে গ্রাহক দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
জেলার তাহিরপুর উপজেলা সহ পাশ^বর্তী উপজেলায় হঠাৎ করে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ট্রান্সফরমার চুরি বৃদ্ধি পায়। ১৮ নভেম্বর রাতে উপজেলার বালিজুরী ইউনিয়নের বড়খলা পশ্চিমহাটি ও পূর্বহাটি গ্রামে ২টি, ১৯ নভেম্বর রাতে দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নে শিববাড়ি গ্রামে পূর্ব পাশে একটি ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা ঘটে। চুরির ঘটনার ২০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপরের পর থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে চুরির বিষয়টি অবগত করতে মাইকিং এর মাধ্যমে প্রচার করে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সুনামগঞ্জ। সেই সাথে আরও প্রচার করা হয় যে সকল গ্রাহকদের ট্রান্সফরমার চুরি হবে তারা নতুন ট্রান্সফরমার পেতে হলে অর্ধেক খরচ বহন করবে। দ্বিতীয় বার চুরি হলে ট্রান্সফরমার এর জন্য পুরো খরচই বহন করতে হবে। তা না হলে চুরি যাওয়া গ্রাহকরা নতুন করে আর ট্রান্সফরমার পাবেন না। এ অবস্থায় যাদের ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে তারা পড়েছেন বিপাকে। সেই সাথে উৎকন্ঠায় ভোগছেন অনেকে।
সরজমিনে দেখা যায় উপজেলার হাওরপারে অধিকাংশ গ্রামের বাড়ি উঠোন থেকে অনেকটা দূরে হাওরের কিংবা নদী জলাশয়ের দ্বারে বিদ্যুতের খুঁটিতে ট্রান্সফরমার লাগানো রয়েছে। আর চুরিও যাচ্ছে বাড়ি থেকে অপেক্ষাকৃত দূরে লাগানো ট্রান্সফরমার গুলো।
উজান তাহিরপুর গ্রামের পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহক বাদল মিয়া বলেন, বাড়ির ভেতর ট্রান্সফরমার লাগিয়ে দিলেই চুরির ঘটনা কমবে।
উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামের পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গ্রাহক পীযুষ তালুকদার বলেন, চুরি যাওয়া ট্রান্সফরমারে আমরা ৬জন গ্রাহক রয়েছি। নতুন করে সংযোগ পেতে ট্রান্সফরমারের অর্ধেক খরচ দিতে হবে, না হলে আমরা ট্রান্সফরমার পাবো না। এ দোষতো আমাদের না। আমরাতো ট্রান্সফরমার চুরি কিংবা নস্ট করিনি।
তাহিরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ইনচার্জ জাহাঙ্গীর আলম বলেন,হঠাৎ করে চুরি বৃদ্ধি পাওয়ায় গ্রাহকদের বিষয়টি অবগত করতে সুনামগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি উপজেলা ব্যাপী মাইকিং করেছে।
তাহিরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সভাপতি মূর্শেদুল আলম বলেন, যে সকল গ্রাহকরা মনে করেন তাদের ট্রান্সফরমার রিস্কে রয়েছে তারা আবেদন করতে পারেন। আমরা সুপারিশ করে দেবো পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি যেনো তাদের খরছে গ্রাহকদের ট্রান্সফরমার স্থানান্তরিত করে দেয়।
সুনামগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার অখিল রঞ্জন সাহা বলেন, পল্লী বিদ্যুতের নিয়ম অনুযায়ী চুরি যাওয়া বা নস্ট হওয়া ট্রান্সফরমার এর অর্ধেক দাম গ্রাহক কে দিতে হবে। যে গ্রাহকদের ট্রান্সফরমার বাড়ি থেকে একটু দুরে রয়েছে সে সকল গ্রাহকরা আবেদন করলে আমরা স্থানান্তরিত করে তা বাড়ির ভেতরে স্থাপন করে দেব।