কাজিরবাজার ডেস্ক :
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের একাধিক সীমান্ত এলাকায় পাকিস্তান ও ভারতীয় সেনাদের পাল্টাপাল্টি গোলাবর্ষণে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত ভারতীয়দের মধ্যে চারজন সেনা ও তিনজন বেসামরিক ব্যক্তি রয়েছেন। অপরদিকে পাকিস্তানের সাত থেকে আট সেনা মারা গেছে বলে দাবি ভারতের। পাল্টাপাল্টি হামলায় উভয় পক্ষের আরও এক ডজন মানুষ আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে।
শুক্রবার জম্মু-কাশ্মীরের গুরেজ থেকে উরি সেক্টরের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার (এলএসি) একাধিক এলাকায় গোলাবর্ষণে এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
ভারতীয় কর্মকর্তারা বলেছেন, পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর ভারী গোলাবর্ষণে উরির নাম্বালা সেক্টরে ভারতীয় তিন সেনা জওয়ান নিহত হয়েছেন। পাকিস্তানি সৈন্যরা এই এলাকায় মর্টার এবং অন্যান্য অস্ত্র ব্যবহার করেছে। উরির হাজি পীর সেক্টর এলাকায় গোলায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের একজন সদস্য নিহত ও আরও একজন আহত হয়েছেন।
কর্মকর্তাদের দাবি, জম্মু-কাশ্মীরের বারমুল্লা জেলার উরির কামালকোট সেক্টরে আরও দুই বেসামরিক নিহত হয়েছেন। এছাড়া হাজি পীর এলাকার বালকোটে এক নারী মারা গেছেন। গোলার আঘাতে আহত একজন বেসামরিক নাগরিকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ভারতীয় সেনা সূত্রগুলো বলছে, পাকিস্তানের গোলাবর্ষণের কড়া জবাব দিয়েছে ভারতীয় সামরিক বাহিনী। জম্মু-কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় (এলওসি) ভারতীয় সামরিক বাহিনীর পাল্টা গোলাবর্ষণে পাকিস্তানি অন্তত ৮ সৈন্য নিহত হয়েছেন।
সূত্র বলছে, নিহতদের মধ্যে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর স্পেশাল সার্ভিস গ্রুপের দুই থেকে তিনজন কমান্ডোও রয়েছেন। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এক টুইট বার্তায় বলেছেন, ভারতীয় সেনাবাহিনীর পাকিস্তানের গোলাবর্ষণের কড়া জবাব দিয়েছে। ভারতীয় সৈন্যদের গোলায় পাকিস্তানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
তবে পাকিস্তান বলছে, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ভারতীয় সামরিক বাহিনীর ছোড়া গোলায় চারজন বেসামরিক নাগরিক মারা গেছেন। এছাড়া শিশুসহ আহত হয়েছেন আরও ২০ জন।
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের টুইটার অ্যাকাউন্টে হামলা চালিয়ে পাকিস্তানি বাঙ্কার উড়িয়ে দেয়ার একাধিক ভিডিও টুইট করা হয়েছে। এছাড়াও ভারত বলছে, পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি অস্ত্রাগার, সন্ত্রাসী আস্তানা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
এদিকে, পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর জনসংযোগ দফতর এক টুইট বার্তায় ভারতীয় সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার রাখচিকরি এবং খঞ্জর এলাকার বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলার অভিযোগ করা হয়।