সিনিয়রের কথাতেই পালিয়ে ছিলেন পুলিশের বরখাস্তকৃত এসআই আকবর। তার দাবি, রায়হানকে তিনি একা মারেননি। আরও অনেকে জড়িত ছিলেন এর সাথে। ধরা পড়ার পর এমনটা দাবি করেছে সিলেটে রায়হানকে নির্যাতন ও হত্যার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত আকবর।
সোমবার, দুপুরে কানাইঘাটের ডোনা সীমান্তে প্রায় এক মাস আত্মগোপনে থাকার পরে তাকে আটক করে স্থানীয় খাসিয়ারা। পরে তাকে হস্তান্তর করা হয় বিজিবির কাছে। এদিকে, হত্যা মামলার তদন্তভার র্যাবের কাছে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন রায়হানের স্বজনরা।
এর আগে, স্থানীয়দের জেরার মুখে আকবর দাবি করেন, তিনি একা নয়, রায়হানকে নির্যাতনে জড়িত ছিলো বন্দরবাজার ফাঁড়ির আরও ৫/৬ জন পুলিশ সদস্য। এসময় আকবর বার বার বলছিলেন, ‘আমি একা মারিনি….ইচ্ছা করে মারিনি’।
জেরার মুখে একজন সিনিয়রের কথাতেই পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করেন আকবর। আকবর জানান, সিনিয়ররা বলছিলো ২ মাস পর ঠাণ্ডা হয়ে যাবে সব।
এরপর খাসিয়ারা আকবরকে তুলে দেয় বিজিবির হাতে। পরে তাকে হস্তান্তর করা হয় সিলেট জেলা পুলিশের কাছে।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন জানান, আকবর আজ সকালে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময়ে আমাদের সাদা পুলিশ পোষাকধারীরা তাকে গ্রেফতার করে। একটা ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এ বিষয়ে আমরা কিছু জানি না। একমাত্র আমাদের পুলিশের চেষ্টায় আকবরকে ধরা সম্ভব হয়েছে। এছাড়া আকবরকে যারা পালাতে সাহায্য করেছে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। কিছুক্ষণের মধ্যেই আকবরকে পিবিআই’র কাছে হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান তিনি।
রায়হানের মা ও রায়হানের স্ত্রী আকবরের ধরা পড়ায় কিছুটা স্বস্তি প্রকাশ করেন। তারা মামলার তদন্তভার র্যাবের কাছে দেয়ারও দাবি জানান।
উল্লেখ্য, নগরীর আখালিয়া এলাকার বাসিন্দা রায়হান আহমদকে গত ১১ অক্টোবর বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে পুলিশ প্রচার করে ছিনতাইয়ের সময় গণপিটুনিতে আহত রায়হান মারা গেছেন। এ ঘটনায় নির্যাতন ও হত্যা মামলা করে রায়হানের পরিবার।