মেটলাইফ’র ম্যানেজার কবিরের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীদের ৩ দিনের আল্টিমেটাম

22
আমেরিকান লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি ‘মেটলাইফ’র অধিভুক্ত সিলেটের কবির খান এজেন্সি’র ম্যানেজার কবির উদ্দিন খানের স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম ও জালিয়াতির প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি ও কর্মবিরতি পালন করেছে ভুক্তভোগীরা।

আমেরিকান লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি মেটলাইফ’র অধিভুক্ত সিলেটের কবির খান এজেন্সি’র ম্যানেজার কবির উদ্দিন খানের স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম ও জালিয়াতির প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি ও কর্মবিরতি পালন করেছেন ভুক্তভোগী ফিনান্সিয়াল এসোসিয়েট ও ইউনিট ম্যানেজারবৃন্দ। শনিবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে নগরীর বারুতখানার সিম্ফনি হাইটস ভবনস্থ কবির খান এজেন্সি’র সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
এর আগে বিষয়টি সমাধানের লক্ষ্যে একাধিকবার মৌখিক এবং লিখিতভাবে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ দায়ের করলেও এর কোনো সমাধান হয়নি। এছাড়াও মেটলাইফ চীফ এজেন্সি অফিসার বরাবরে গত ১৮ অক্টোবর ই-মেইল এবং কুরিয়ার মারফত অভিযোগ দায়ের করা হয় এবং শনিবার সিলেটে দায়িত্বরত সেলস ম্যানেজার শামীম আহমদের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী ফিনান্সিয়াল এসোসিয়েট ও ইউনিট ম্যানেজাররা জানান, আগামী ২৭ অক্টোবর বেলা ২টার মধ্যে এ বিষয়ে কোনো সমাধান না হলে ওই দিন বিকেল ৩টায় নগরীর দরগাহ গেইটস্থ মেটলাইফ সেলস অফিস ঘেরাওসহ আরও কঠোর আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে।
অবস্থান কর্মসূচি পালনকালে বক্তারা বলেন, ‘কবির খান এজেন্সি’র ম্যানেজার কবির উদ্দিন খান নানা অনিয়ম ও কোম্পানি বিরোধী কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছেন। কোম্পানির নিয়োগকৃত সেক্রেটারিবৃন্দ কবির খানের কথায় অফিসের কাজ বাদ দিয়ে নিজেরা গ্রাহকদের পলিসি করাতে ব্যস্ত থাকেন। এছাড়াও সার্টিফিকেট জাল করে এফ.এ (ফিনান্সিয়াল এসোসিয়েট) নিয়োগ দিয়ে থাকেন। শুধু তাই নয়, কোম্পানির নির্দিষ্ট ফরমেট ছাড়াই কবির উদ্দিন ব্যক্তিগত ফরমেটে গ্রাহকদের পলিসি করান।
এছাড়াও কবির উদ্দিন মেটলাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির লগো দেখিয়ে লোক নিয়োগ দিয়ে এফ.এ কোড তৈরির পর পরবর্তীতে সে এফ.এ (ফিনান্সিয়াল এসোসিয়েট)-কে তার ভাইয়ের কোম্পানি চার্টার্ড লাইফ ইন্সুরেন্স-এ স্থানান্তরিত করেন।
বক্তারা আরও বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রহস্যজনক কারণে কবির উদ্দিন খানের অনিয়মের বিষয়ে নিরব ভূমিকা পালন করেন। তাই দুর্নীতির বিরুদ্ধে মুখ খুলায় ইতিপূর্বে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ভুল বুঝিয়ে অজিত কুমার ভট্টাচার্য্য (৬৩) ও বিনয় ভূষণ দে (৩৫) নামের দুজন ইউনিট ম্যানেজারের চুক্তি বাতিল করান কবির উদ্দিন। এছাড়াও এই দুই ম্যানেজারের সকল গ্রাহককে কবির উদ্দিন তার নিজস্ব কোডে স্থানান্তরিত করতে অজিত কুমার ও বিনয় ভূষণকে অফিসে প্রবেশ না করার জন্য হুমকি দেন। এমনকি তিনি বাসায় গিয়েও তাদের প্রাণনাশের হুমকি দেন।
এছাড়াও কবির উদ্দিন বার বার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি তার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেননি। বরং তিনি তার নিজস্ব বলয় তৈরি করে অন্যায়-অবিচার অব্যাহত রেখেছেন।
অবস্থান কর্মসূচিতে মো. শহিদুজ্জামান, মো. রাসেলুজ্জামান, মো. মিজানুর রহমান, শীলা দে, জুবের আহমদ, তাহমিনা আক্তার, মো. সুমন, ওয়াহিদ আকিল, তাজুল ইসলাম, আলী হোসেন, জিয়াউল হক, রইছ মুন্সি, জহির আহমদ খান, আব্দুল্লাহ ফয়সাল, ফয়সল আহমদ, কল্পনা রাণী, নুরুল ইসলাম, এস.ডি সুমেলসহ শতাধিক ভুক্তভোগী ফিনান্সিয়াল এসোসিয়েট ও ইউনিট ম্যানেজারবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি