মৌলভীবাজার থেকে সংবাদদাতা :
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় (৬৫) বছর বয়সী সাহারা বেগম নামে এক বৃদ্ধা মাতাকে বেধড়ক পিটিয়েছে পাষন্ড ছেলে বখাটে সাইদুল হাসান ওরফে শিপন। এ সময় সহজ সরল স্বভাবের অধিকারিণী এই বৃদ্ধা মা গুরুতর আহত হন। যে ছেলেকে জন্ম দিলেন লালন পালন করে বড় করলেন ওই ছেলের হাতে মার খেয়ে গুরুতর আহত হয়ে বিচার পেতে কান্না জড়িত অবস্থায় স্থানীয় কুলাউড়া থানায় হাজির হয়ে অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইয়ারদৌস হাসানের শরণাপন্ন হয়ে বিচার প্রার্থী হন। একপর্যায়ে ছেলের বেধড়ক পিটুন খেয়ে যেভাবে আহত হন পুরো ঘটনার বিবরণ বলে ছেলের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিতে থানায় একটি জিডি (নং ৮২৮/ তারিখ-১৯/০৯/২০২০) করেন। পরে থানায় এই বৃদ্ধা মা অজ্ঞান হয়ে পড়লে ওসির সহযোগিতায় থানার নারী পুলিশ দিয়ে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা প্রদান করা হয়। ছেলে মাকে পিটিয়েছে এমন ঘটনার খবরে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে বেশ আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
থানার জিডি সূত্রে জানা যায়, ১৯ সেপ্টেম্বর শনিবার দুপুরের দিকে পৌর শহরের মাগুরাস্থ বাসায় আলমিরার ড্রয়ার খোলা দেখে অকথ্য ভাষায় শিপন তার মাকে গালিগালাজ করতে থাকে। এ সময় গালিগালাজ করতে বাধা দিলে শিপন উত্তেজিত হয়ে তার মায়ের শরীরে কিল, ঘুষি, লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক জখম করে। ঘটনার সময় মায়ের চিৎকার শুনে পাশ্ববর্তী প্রতিবেশী লোকজন দ্রুত এসে সাহারা বেগমকে উদ্ধার করে। ঘটনাস্থলে পাশ^বর্তী লোকজন গেলে শিপন প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে বলে এ ঘটনার বিষয় থানায় কোন অভিযোগ দিলে মাকে খুন করে লাশ গুম করার হুঁশিয়ারী দেয়।
সাহারা বেগম অভিযোগে বলেন, শিপন অত্যন্ত খারাপ ও উগ্র প্রকৃতির লোক। সবসময় আমার অবাধ্য থাকে। যেকোন বিষয়ে আমার সাথে ঝগড়া শুরু করে দেয়। এ ঘটনার পর থেকে আমি চরম আতংকের মধ্যে ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আহত হয়ে আমি কুলাউড়া হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছি। এবং তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পুলিশ প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দিয়েছি।
অভিযুক্ত সাইদুল হাসান সিপনের কাছে জানতে চাইলে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলে বন্ধ পাওয়া যায়।
কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ ইয়ারদৌস হাসান শিপন তার মাকে পেটানোর সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।