বিশ^খাদ্য দিবস উপলক্ষে দেশের সকল নাগরিকের জন্য জীবিকার নিশ্চয়তা এবং খাদ্য ও পুষ্টি অধিকার নিশ্চিত করার জন্য খাদ্য অধিকার আইন প্রণয়নের দাবিতে ১৩ অক্টোবর এক আলোচনা সভার আয়োজন করে ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট এফেয়ার্স (আইডিয়া) এবং খাদ্য নিরাপত্তা নেটওয়ার্ক (খানি) বাংলাদেশ। দক্ষিণ সুরমা উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে খাদ্যকে জীবন ধারণের মৌলিক চাহিদা হিসাবে চিহ্নিত করা হলেও ২০১৯ সালের বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তা সূচকে ১১৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ৮৩তম অবস্থানে রয়েছে। অন্যদিকে গবেষকরা বলছে, করোনা মহামারী লকডাউন সময়ে দেশের প্রায় ৯৮.৩ শতাংশ দরিদ্র মানুষের জীবন যাত্রা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং প্রায় ৮৭ শতাংশ দরিদ্র মানুষ পর্যাপ্ত ও পুষ্টিকর খাদ্য সঙ্কটে ভুগেছে। এক গবেষণায় দেখা গেছে সমগ্র দেশের মধ্যে সিলেট অঞ্চলের মানুষ লকডাউনকালীন সময়ে সবচেয়ে বেশী খাদ্য সমস্যায় কষ্ট ভোগ করেছে। এছাড়া বাংলাদেশ পরিসংখ্যান বলছে, দেশের পরিবারগুলোর আয় ২০.২৪ শতাংশ কমেছে। তাই দেশের সকল মানুষের জীবিকা, সংস্কৃতিভেদে নিরাপদ ও পুষ্টিকরখাদ্য নিশ্চিত করার জন্য এখনই জাতিসংঘ কৃষি ও খাদ্য সংস্থার ভলেন্টারি গাইড লাইনের আলোকে দেশে খাদ্য অধিকার আইন প্রণয়ন করা জরুরি। এই আইন প্রণীত হলে সকল মানুষের খাদ্য ক্রয়ের জন্য আয়, খাদ্যের যোগান এবং সংস্কৃতি ভেদে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্যের আইনী বাধ্যবাধকতা তৈরি হবে। প্রধানমন্ত্রী ২০১৫ সালে খাদ্য অধিকার বিষয়ক আইন প্রণয়নের বিষয়ে প্রতিশ্র“তি ব্যক্ত করলেও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো থেকে এখন পর্যন্ত কোন দৃশ্যমান অগ্রগতি পরিলক্ষিত হয়নি। বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে আজকের এই কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা এই আইন অবিলম্বে প্রণয়নের দাবি জানাচ্ছি।’ আইডিয়া’র সহকারী পরিচালক (প্রোগ্রাম) নাজিম আহমদের সভাপতিত্বে এই আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন মিন্টু চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা, সিলেট। আরও সম্মানিত অতিথি ছিলেন উপজেলা সমাজসেবা, কৃষি, যুব উন্নযন, মৎস্য, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, তেতলি ও বরইকান্দি ইউনিয়নের সদস্যবৃন্দ। আয়োজিত কর্মসূচিতে খানি সদস্য, নারী কৃষকদের প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী, উন্নয়ন কর্মী, সাংবাদিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি