অব্যাহত নারী ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে এবং দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে গণফোরাম সিলেট জেলা ও মহানগর শাখা।
শুক্রবার (৯ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, অব্যাহত নারী ধর্ষণ ও নির্যাতনে মানুষ মর্মাহত এবং উৎকণ্ঠিত। আমরা মনে করি, দেশের আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি, শৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যর্থতা, বিচারের ক্ষেত্রে আইনী প্রক্রিয়ার জটিলতা ও দীর্ঘসূত্রিতা, ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় বছরের পর বছর আদালতে যাতায়াত করেও বিচার প্রার্থীদের যথাসময়ে বিচার না পাওয়ার কারণে মানুষের মধ্যে হতাশাবোধ আছে। অন্যদিকে, অপরাধীরা নিজেদেরকে আইন ও বিচারের ঊর্ধ্বে মনে করে ব্যাপক ভাবে অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে, অন্য অপরাধীদেরকেও উৎসাহিত করছে। আরও আছে ক্ষমতার দাপট। সরকারীদলের ছায়াতলে ক্ষমতার দম্ভে এসব জঘণ্য অপরাধীরা আইনের অবজ্ঞা করে তাদের অপরাধ কর্ম নির্ভয়ে চালিয়ে যাচ্ছে। ওরা আইনকে নিজেদের হাতে তোলে নেবার সাহস দেখাচ্ছে। এভাবে আইনকে হাতে তোলে নেবার অবাধ স্বাধীনতা দেশে আইনহীন, বিচারহীন অবস্থার সৃষ্টি করেছে।এছাড়া, বিচার প্রক্রিয়াকে রুদ্ধ, বিলম্বিত ও দীর্ঘায়িত করার নানা ফন্দিফিকিরের মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রাপ্তির পথ বন্ধ করা হচ্ছে। ফলে সারা দেশে নারী ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের মতো জঘন্য অপরাধ ব্যাপকভাবে বেড়ে চলেছে। দেশে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, অপরাধের শাস্তির দন্ড বৃদ্ধির প্রয়োজন আছে, তবে দন্ড বৃদ্ধি ন্যায় বিচার নিশ্চিত করে না। ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার জন্য দরকার, আইনের সঠিক প্রয়োগ করা, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা কার্যকর ভাবে নিশ্চিত করে রাজনৈতিক ও অন্যবিধ হস্তক্ষেপমুক্ত বিচারের নিশ্চয়তা বিধান করা,বিচার ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করা,বিচার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ধৃত অপরাধীদের জামিন প্রদান না করা, বিচার প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত না করার নিশ্চয়তা বিধান করা, বিচার প্রার্থী ও সাক্ষী সাবুদদের নিরাপত্তা বিধান করা, সর্বোপরি উচ্চ আদালতে এধরণের মামলার আপীল নিষ্পত্তি করার মেয়াদ নির্দিষ্ট করে দেওয়া। এসব প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রভাব ও হস্তক্ষেপমুক্ত ন্যায় বিচার নিশ্চিত করা হচ্ছে সবচেয়ে জরুরী।
নেতৃবৃন্দ বলেন, দ্রুত ও কার্যকর ন্যায় বিচার নিশ্চিত হলে, আইনের শাসন সুনিশ্চিত হলে সমাজ অপরাধমুক্ত হবে। সমাজকে অপরাধমুক্ত করার দায়িত্ব মূলত সরকারের।
বিবৃতিদাতারা হলেন, সিলেট জেলা গণফোরামের আহ্বায়ক এডভোকেট আনসার খান, মহানগরের আহ্বায়ক এডভোকেট এমদাদুল হক, জেলার সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার শিবু প্রসাদ দাশ, ও মহানগরের সদস্য সচিব মো. আশরাফ হোসেন। বিজ্ঞপ্তি