ছাতক থেকে সংবাদদাতা :
ছাতকে সরকারী সীল ও বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের জাল কাগজপত্র সৃজন করে প্রতারণা করার অভিযোগে এক ইউপি সদস্য সহ ১২ জন প্রতারকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার ছাতক ভূমি অফিসের নাজির লাল মিয়া বাদী হয়ে থানায় এ মামলা (নং-২৬) দায়ের করেন। আসামীদের মধ্যে ২জন ইতিমধ্যেই আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতার করতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানা গেছে। সোমবার রাতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট তাপস শীল ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান চালিয়ে সরকারী সীল ও জাল কাগজপত্র সৃজন করে প্রতারণা করার অভিযোগে ছাতক সদর ইউনিয়নের রনমঙ্গল গ্রামের সিরাজ আলীর পুত্র আফতাব উদ্দিন (২৬) ও উপজেলার উত্তর খুরমা ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামের আরশ আলীর পুত্র, ছাতক শহরের প্রিন্টেক কম্পিটারের পরিচালক ফয়সল আহমদ (২০)কে আটক করেন। এ সময় আফতাব উদ্দিনের বাড়ি থেকে প্রশাসন, ভূমি অফিস ও সেটেলম্যান্ট অফিস সহ সরকারী বিভিন্ন দপ্তরের ১১টি সীল-মোহর, ২টি সরকারী ব্যাংকের লোন গ্রহণের পাশবুক, ৪টি মৌজার ভলিউম বই এবং সরকারী বিভিন্ন দপ্তরের জাল কাগজপত্র, দলিল, পর্চাসহ তাকে আটক করেন। পরে শহরের প্রিন্টেক কম্পিউরটার দোকান থেকে তাদের সৃজন করা ৩টি জাল মুক্তিযোদ্ধা সনদ, ব্যবহৃত তিনটি কম্পিউটারসহ জাল কাগজপত্র জব্দ করেন ভ্রাম্যমান আদালত। ভূমি অফিসের নাজির লাল মিয়া দায়েরী প্রতারণা মামলার আসামীরা হল রনমঙ্গল গ্রামের আফতাব উদ্দিন ও তার পিতা সিরাজ আলী, প্রিন্টেকের মালিক আনোয়ার হোসেন ও তার ভাই ফয়সল আহমদ, ছাতক সদর ইউনিয়নের মেম্বার মুহিবুর রহমান, প্রতারক চক্রের সহযোগী হিমাংশু দাস, আজব আলী, আজাদ মিয়া, মাসুক মিয়া, আনোয়ার সহ ১২ জন।