কমলগঞ্জে সর্দি ও জ্বরের প্রাদুর্ভাব, করোনার আতঙ্ক

9

কমলগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় ঘরে ঘরে ভাইরাসজনিত সর্দি ও জ্বরের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এক সপ্তাহ থেকে বিভিন্ন অঞ্চলে শিশু থেকে বয়োবৃদ্ধ সকল বয়সের মানুষের মাঝে এ জ্বরের আক্রান্ত হচ্ছেন। ফলে ভাইরাসজনিত এ জ্বর অনেকের মাঝে করোনা আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে চিকিৎসকেরা এটিকে (ভাইরাল ফিভার)-এর প্রাদুর্ভাব বলে দাবি করছেন।
জানা যায়, সর্দি, জ্বর, কাশিসহ বিভিন্ন রোগ নিয়ে রোগীদের উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে প্রাইভেট চিকিৎসকদের চেম্বারে। সরকারি হাসপাতালের চেয়ে প্রাইভেট চিকিৎসা কেন্দ্রেই মানুষ বেশি ভিড় করছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর বহির্বিভাগেও এসব উপসর্গ নিয়ে কমবেশি রোগী পাওয়া যাচ্ছে। গড়ে প্রতিদিন ৪০-৫০ জন রোগী বহির্বিভাগে আসছেন। এদের মধ্যে বেশির ভাগই জ্বর, সর্দি, কাশিতে আক্রান্ত। তবে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকরা তাদের করোনা পরীক্ষার নমুনা দিয়ে যাওয়ার জন্য পরামর্শ প্রদান করছেন। রোগীর মতে জ্বর হলে শীত শীত ভাব, মাথা ব্যথা, শরীরে ও গিরায় ব্যথা, খাওয়ায় অরুচি, ক্লান্তি, দুর্বলতা, নাক ও চোখ দিয়ে পানি পড়া, চোখ লাল হওয়া, চুলকানি, কাশি, অস্থিরতা ও ঘুম কম হওয়া এসব উপসর্গ রয়েছে।
কমলগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা. সৌমিত্র সিংহ জানান, করোনা পরীক্ষার জন্য সরকারি ফি প্রদান করতে হবে শুনে অনেকেই নমুনা দিতে আগ্রহী নয়। তিনি আরো জানান, এ ধরণের রোগীদের প্রচুর পানি পান করা এবং বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এ জ্বরের জন্য এন্টিবায়োটিকও জরুরি নয়। ভাইরাস জ্বর ৩/৫ দিন পর্যন্ত থাকে। তবে স্থায়িত্বকাল এর বেশি হলে অবশ্যই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ প্রয়োজন।
পল্লী চিকিৎসক দিপক রঞ্জন মল্লিক বলেন, সর্দি, জ্বর, কাশি এ ধরণের রোগী এখন বেশি পাওয়া যাচ্ছে। খুব সতর্কতার সহিত তাদের ব্যবস্থাপত্র ও সচেতনতার জন্য পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। তবে মানুষের মধ্যে মাস্ক পরিধানসহ সচেতনতা বোধ আগের মতো নেই।
কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মাহবুবুল আলম ভূঁইয়া বলেন, বর্তমান সময়ে সর্দি, জ্বর, কাশি এগুলো (ভাইরাল ফিভার) মৌসুমী আবহাওয়াজনিত। তবে এসব বিষয়ে সতর্ক রয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।