সীমান্ত এলাকা গোয়াইনঘাটে পেঁয়াজের বাজার অস্থির

10

গোয়াইনঘাট থেকে সংবাদদাতা :
গোয়াইনঘাট উপজেলার হাটবাজার গুলোতে পেঁয়াজের দাম আবারও বেড়েছে। পাইকারি বাজারে পেঁয়াজ সংকটের কারণে দাম বেড়েছে বলে খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, সিলেট লাগোয়া ভারত সীমান্তের ওপার থেকে অবৈধভাবে পেঁয়াজ এলেও ঘন ঘন আটকের কারণে বাজারে পেঁয়াজের উত্তাপ বলে কয়েকজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে কৌশলে আলাপ করে জানা গেছে। এছাড়া পরিবহন ধর্মঘট ও অন্যান্য কারণে পেঁয়াজ সংকট দেখা দিয়েছে। এ কারণে খুচরা বাজারে বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা আরো জানান, বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ গোয়াইনঘাটের বাজারগুলোতে এখনও পৌছায়নি। এসব কারণেই গোয়াইনঘাটের হাটবাজারে পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী। আবার অনেক ব্যবসায়ী অতিরিক্ত মুনাফা অর্জনের আশায় গোয়াইনঘাটের বিভিন্ন হাট-বাজারে পেঁয়াজের কৃত্রিম সংকট তৈরী করেছেন।
শুক্রবার গোয়াইনঘাটের বড় বড় হাটবাজার গুলো ঘুরে দেখা গেছে পেঁয়াজের তীব্র সংকট। অনেক বাজারে পেঁয়াজ থাকলেও সেগুলো বেশ পুরোনো। পেঁয়াজের সংকট থাকার কারণে গোয়াইনঘাট উপজেলা সদরে প্রতিকেজি পেঁয়াজের মূল্য ৬০-৬৫টাকা, রাধানগর বাজারে ৬০-৭০টাকা, জাফলং বাজারে ৬০-৭০টাকা, সালুটিকর বাজারে ৬০ টাকা, তোয়াকুল বাজারে ৭০-৮০টাকা, হাদারপার বাজারে ৬০-৬৫টাকা, ফতেহপুর বাজারে ৬০-৭০টাকা, বাংলা বাজারে ৭০-৮০টাকা, বিন্নাকান্দি বাজারে ৬০-৭০টাকা, চৌমুহনী বাজারে ৮০টাকা এবং কোওর বাজারে ৭০-৮০টাকা।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) থেকে নতুন করে কোনো পেঁয়াজ বাজারে না আসায় এমনটি হয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ ইব্রাহিম জানান, বাজারে পেঁয়াজের কিছুটা সংকট রয়েছে। উক্ত সংকট থেকে উত্তরণের জন্য শেখ হাসিনার সরকার পেঁয়াজ আমদানিতে কোটি কোটি টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে। বাজার স্বাভাবিক রাখতে বর্তমানে বিমানেও পেঁয়াজ আনা হয়েছে। এখন কিছুটা দাম থাকবে। তবে ব্যবসায়ীদের সতর্ক থাকতে হবে, যাতে সাধারণ মানুষ কোনোভাবেই প্রতারিত না হন।
এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাজমুস সাকিব বলেন, সরকার প্রতি কেজি পেঁয়াজের বাজার মূল্য ৫৮টাকা নির্ধারণ করেছে। নির্ধারিত দামের চেয়ে কেউ বেশী দাম নিলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।