কমলগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের হাট-বাজারে পেঁয়াজের বাজার বেসামাল হওয়ায় ব্যবসায়ীরা দাম বৃদ্ধির এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে মজুদকৃত পেঁয়াজ দ্বিগুণের চেয়েও বেশী দামে বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। পেঁয়াজের বাজার বেসামাল হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন ক্রেতা সাধারণ। বৃহস্পতিবার কয়েকটি হাটবাজার ঘুরে এচিত্র দেখা যায়।
খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, শমসেরনগর বাজারে বিভিন্ন দোকানে ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। শমসেরনগর ব্যবসায়ীরা বলেন, শ্রীমঙ্গল আড়তে পেঁয়াজের দাম বাড়ায় স্থানীয় হাটবাজারেও দাম বেড়েছে। প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকা থেকে ১শ’ টাকা পর্যন্ত। অথচ দু’দিন আগেও বিক্রি হয়েছে ৪২ থেকে ৪৫ টাকা দরে। ভারত থেকে পেঁয়াজ আসা বন্ধের এই সুযোগে স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও দ্বিগুণ দামে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন।
ক্রেতা আব্দুল্লাহ, মানিক মিয়া, আলমগীর বলেন, দু’দিন আগেও খুচরা বাজার থেকে প্রতি কেজি পেঁয়াজ কিনেছেন ৪২ থেকে ৪৫ টাকা কেজি দরে। আর এখন মোদি দোকানগুলোতে সে পেঁয়াজই কেজি প্রতি তাদের কিনতে হচ্ছে ৮০ টাকা থেকে ৯০ টাকা দরে। এভাবে দ্রুত দ্বিগুণের চেয়ে বেশী দাম হলে পেঁয়াজ কিনে খাওয়া দুর্বিষহ হয়ে উঠবে। করোনাকালীন সময়ে এমনিতেই আয় রোজগার কম ও জিনিসপত্রের দাম বেশি হওয়ায় আয়ের সাথে ব্যয়ের তারতম্য হচ্ছে না। তবে বাজারে যে পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে তাতে গত বছরের মত আরও দাম বাড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করছেন। টিসিবি’র মাধ্যমে সবকটি বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণে পেঁয়াজ বিক্রি না হওয়ায় নিম্নআয়ের লোকজন সে সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
শমসেরনগর বাজারের মোদী ব্যবসায়ী কাইয়ুম আলী বলেন, কয়েক দিন আগে কম দামে কেনা পেঁয়াজ ছিল তা ৪০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন। এ সপ্তাহে শ্রীমঙ্গল আড়ৎ থেকে বেশী পেঁয়াজ কেনায় কেজি প্রতি ৭০ টাকা করে বিক্রি করছেন। ভানুগাছ বাজারের খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা সাজু মিয়া জানান, এখন ৬০ টাকা দরে পেঁয়াজ কিনে ৮০ থেকে ৯০ টাকা দরে বিক্রি করছেন।
এব্যাপারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মৌলভীবাজারের সহকারি পরিচালক আল-আমিন বলেন, বাজার যাতে অস্বাভাবিক না হয় সে বিষয়ে তদারকি করা হচ্ছে। টিসিবির মাধ্যমেও পেঁয়াজ বিক্রির ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। টিসিবির মাধ্যমে সারা জেলায় পেঁয়াজ বিক্রি হলে দাম ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকবে।