করোনা প্রতিরোধে আইনী পদক্ষেপ

34

বিশ্বের সব দেশে কমলে ও আমাদের দেশে শনাক্তের সংখ্যা কম থাকলেও মৃত্যুর হার কমেনি। ফলে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের দেশ পিছিয়ে রয়েছে। করোনা ভাইরাসের প্রতিরোধ ব্যবস্থায় কোথায় যেন অমিল রয়েছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে দেশে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হবে বলে অনেকে মনে করছেন।
সারা বিশ্বের ২১৮টি দেশের করোনা মহামারি অল্পদিনের ব্যবধানে নিয়ন্ত্রণে আনা গেলে ও দীর্ঘ ৬ মাসেও মৃত্যুর সংখ্যা ঊর্ধ্বমুখি রয়েছে। এ অবস্থা বিদ্যমান থাকলে যে ভয়াবহতার সৃষ্টি হবে, তাহা সামাল দেয়া কঠিন হবে। গত কয়েকদিনে যদিও শনাক্তের হার বাড়েনি তবে মৃত্যুর হার কমেনি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আসলেও আমাদের দেশে কেন আসছে না, ইহাই সাধারণ মানুষের প্রশ্ন। আমাদের দেশে কি করোনা ভাইরাস রোধে ব্যবস্থা খুবই দুর্বল, তা নিয়ে ভাবছেন।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে; করোনা শনাক্তের হার কমে যাওয়া এবং মৃত্যু একেই অবস্থানে থাকায় করোনা শনাক্তের প্রকৃত চিত্র জাতির সামনে ফুটিয়ে তুলতে পারেনি। তাদের মতে আমাদের স্বাস্থ্যবিভাগের অব্যবস্থাপনা, সরকারী-বেসরকারী হাসপাতালের সেবার মান নিয়ে সাধারণ মানুষের নেতিবাচক ভাবনা হওয়ায় করোনা শনাক্তের হার কমেছে। শনাক্তের বাইরেও দেশে বহু সংখ্যক মানুষ করোনা আক্রান্ত রয়েছে। তাই করোনার নমুনা পরীক্ষা বাড়লে মৃত্যুর হার অনেকগুণ কমবে বলে মনে করছেন।
দেশে করোনা ভাইরাস রোধে যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে, সেগুলো বাস্তবে কার্যকারী কতটুকু হয়েছে, তা ভেবে দেখা খুবই প্রয়োজন রয়েছে। বিশ্বের দেশ গুলো করোনা প্রতিরোধের পদক্ষেপগুলো যেভবে অনুসরণ করে করোনা ভাইরাসকে প্রতিরোধ করতে চেষ্টা করেছে, সে অনুপাতে আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলেনি, এমনকি অধিকাংশ মানুষ বাহিরে মাস্ক ব্যবহার করেনি, হাট-বাজার, রেল-ষ্টেশন, বাস টার্মিনাল, সাধারণ যানবাহনে করোনা ভাইরাস রোধে কোন প্রকার বিধি-বিধান মানা হচ্ছে না। ফলে করোনা ভাইরাস রোধে ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম দেখা দিয়েছে। এ ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার বিকল্প নেই।