১২ দিনেও গ্রেফতার হয়নি খাদিমনগরের তানভির হত্যা মামলার আসামীরা

7

পুত্রকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ মা-বাবা। আশাছিল অভাবের সংসারে ছেলে হাল ধরবে। কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণ হতে দেয়নি ঘাতকরা। জমি সক্রান্ত বিরোধের জেরে ছুরিকাঘাত ও পিটিয়ে হত্যা করা হয় সিলেট শহরতলির ছালেহপুর গ্রামে তানভির আহমেদকে (২০)। এ ঘটনায় নিহতের দরিদ্র পিতা শফিক মিয়া বাদী হয়ে বিমাবন্দর থানায় ৭জনকে আসামি কয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জানান, আসামিদেরকে খোঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, সব রকম চেষ্টা তারা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে প্রশ্ন উঠেছে, পুলিশের এত খোঁজাখুজি আর তৎপর থাকার পরেও কিভাবে আসামীরা বাদি বাড়িতে এসে হুমকি দিয়ে যায়। এনিয়ে এলাকায় ব্যাপক রহস্যের দেখা দিয়েছে। এ ঘটনায় নিরাপত্তা চেয়ে মামলার বাদি শফিক মিয়া গত ১০ সেপ্টেম্বর বিমানবন্দর থানায় সাধারণ ডায়রি নং-৪০৩ দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বিমানবন্দর থানার সাব ইন্সপেক্টর আব্দুস সাত্তার জানান, পুলিশ মামলার আসামিদের গ্রেফতার করার জন্য তৎপর রয়েছে। নানাভাবে কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ। জিডির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শুনেছি মামলার বাদী শফিক মিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেছেন। পুলিশ সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
আক্ষেপের সাথে মামলার বাদি শফিক মিয়া বলেন, আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করছে না। এমনকি আসামিরা প্রকাশ্যে আমার বাড়িতে এসে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এ ঘটনায় আমি থানায় জিডি করেছি নিরাপত্তা চেয়ে। পুলিশ তৎপর থাকলে কিভাবে আসামীরা আমার বাড়িতে আসে। আমি আমার ছেলে হত্যা বিচার চাই।
এছাড়াও, একটি নিরীহ পরিবারের সন্তানকে হত্যা করার অপরাধে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে গত গত শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিমানবন্দর গেইটের মুখে মানবন্ধন করেন এলাকাবাসি।
হত্যা মামলার আসামিরা হচ্ছে, সিলেট সদর উপজেলার খাদিমনগরের সালেহপুর গ্রামের আব্দুল গণির ছেলে তোয়াহিদ (২০), তোফায়েল(২২), একই গ্রামের মৃত কনু মিয়ার ছেলে উসমান গণি (৪৭), শামসুল হক (৫৫), আব্দুল গণি (৫০), আফতাব উদ্দিন উরফে শামসুল হক, তার ছেলে ছেলে পিয়াস আহমদ (১৯), মাসুক মিয়ার ছেলে পাপ্পু মিয়া (২৩)। আসামিদের মধ্যে আফতাব উদ্দিন উরফে শামসুল হক সিলেট সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। (খবর সংবাদদাতার)