রাষ্ট্রীয় পাটকল বন্ধের সিদ্ধান্ত বাতিল করুন – বাম গণতান্ত্রিক জোট

5
পাটকল বন্ধের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে কোর্ট পয়েন্টে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন জোট ও বাসদ এর জেলা সমন্বয়ক আবু জাফর।

পাটকল বন্ধের সিদ্ধান্ত বাতিল, পিপিপি বা লীজ নয় আধুনিকায়ন করে পাটকল চালু, দুর্নীতি-লুটপাট বন্ধের দাবিতে বাম গণতান্ত্রিক জোট সিলেট জেলা শাখার উদ্যোগে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বিকাল ৫টায় ঐতিহাসিক কোর্ট পয়েন্টে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সিলেট জেলা বাম গণতান্ত্রিক জোট ও বাসদ সমন্বয়ক আবু জাফরের সভাপতিত্বে ও সিপিবি নেতা নিরঞ্জন দাশ খোকন এর সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিপিবি সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আনোয়ার হোসেন সুমন,বাসদ নেতা প্রণব জ্যোতি পাল, বাসদ (মার্কসবাদী) নেতা মুখলেছুর রহমান, সনজয় দাশ, সনজয় শর্মা, মনীষা ওয়াহিদ প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, করোনা মহামারিতে পুরো দেশের মানুষের জীবন ও জীবিকা যখন বিপন্ন, ঠিক সেই সময় রাষ্ট্রীয় খাতের ২৫টি পাটকল বন্ধ করে প্রায় ৫০ হাজার শ্রমিককে বেকার করেছে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার রাষ্ট্রীয় পাটকল লোকসানের অজুহাত দেখিয়ে। কিন্তু কেন লোকসান, কাদের কারণে লোকসান, লোকসান কাটাতে কী কী উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল? সে সব প্রশ্নের কোন উত্তর না দিয়ে সম্পূর্ণ গায়ের জোরে স্বেচ্ছাচারি কায়দায়, একতরফাভাবে বিনা ভোটের সরকার রাষ্ট্রীয় পাটকল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পাট ও পাটজাত পণ্যের সম্ভাবনা যখন দুনিয়াব্যাপী বাড়ছে, পাটের চাহিদা ও বাজার যখন জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে বাড়ছে তখন কাদের স্বার্থে রাষ্ট্রীয় পাটকল বন্ধ করা হচ্ছে। এটা কি দেশের স্বার্থে নাকি পাটখাত দেশে-বিদেশী পুঁজিপতিদের হাতে তুলে দেয়ার স্বার্থে?
বক্তাগণ আরও বলেন, পাটকল বন্ধ হলে শুধুমাত্র ৫০ হাজার পাটকল শ্রমিকরাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে না, এর সাথে ৪০ লাখ পাটচাষী ও পাট চাষের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যুক্ত ৪ কোটি মানুষও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশের জাতীয় অর্থনীতি। পাট বাংলাদেশের একটি স্থায়ী শিল্পের ভিত্তি রচনা করেছিল, যার কাঁচামাল দেশে উৎপাদিত হয়। দেশের চাহিদা পূরণ করে যা রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়। সেই শিল্প ও শ্রমিক-কৃষকের স্বার্থে পাটকল বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে দেশপ্রেমিক সকল মানুষকে আন্দোলনে নেমে আসার আহবান জানান। বিজ্ঞপ্তি